• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    অবসর নিয়ে ভাবছেন না মাশরাফি, বল তার কোর্টেই

    অবসর নিয়ে ভাবছেন না মাশরাফি, বল তার কোর্টেই    

    বিশ্বকাপ শেষেই অবসর নেবেন, সেটা তিনি বলেননি কখনোই। গত বছর যখন রাজনীতিতে নামার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন, তখন বলেছিলেন বিশ্বকাপ শেষে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভেবে দেখবেন। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ এখন প্রায় শেষের দিকে। তবে শেষ চারের আশা টিকে আছে এখনও, সামনের দুইটি ম্যাচ তাই মহামূল্যবান। এরকম একটা পরিস্থিতিতে এখন অবসরের ভাবনা একপাশে সরিয়ে রাখছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিশ্বকাপ শেষেই অবসর নিচ্ছেন, সেরকম গুঞ্জনও উড়িয়ে দিয়েছেন।

    এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞদের একজন মাশরাফি, তার মতো ২০০৩ বিশ্বকাপ খেলেছেন শুধু ক্রিস গেইল। বয়স হয়ে গেছে ৩৫। চোট ক্যারিয়ারে কম ভোগায়নি তাকে, এই বিশ্বকাপেও হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা আছে। হয়তো সেটার ছাপ পড়েছে খেলায়ও, এখন পর্যন্ত যে বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা দিতে পারছেন না। ছয় ম্যাচে পেয়েছেন একটি উইকেট, যদিও সেটা দিয়ে চিত্রটা পুরোপুরি বোঝা যায় না। কয়েকটি ম্যাচে রান আটকানোর কাজ শুরুতে করেছেন, আবার কয়েকটি ম্যাচে পারেননি। সব মিলে ঠিক প্রত্যাশা পূরণ হয়নি তার খেলায়।

    তবে এখনও বাংলাদেশের ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে মহাগুরুত্বপূর্ণ দুইটি ম্যাচ বাকি। ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেছেন অবসরের ভাবনা এখনই মাথায় আনছেন না, ‘অবশ্যই এটা আমার শেষ বিশ্বকাপ, তবে এর পরেই আমি বিদায় বলছি না। আসলে এই মুহূর্তে এটা নিয়ে আমি ভাবতেই চাচ্ছি না। বিশেষ করে টুর্নামেন্টের এই অবস্থায়। এটা হলে মনযোগ অন্যদিকে চলে যাবে। এই সময়ে এসে মানুষ আবেগতাড়িত হয়ে পড়তে পারে। তবে হ্যাঁ, বোর্ড থেকে যদি কোনো বার্তা পাই তাহলে আমাকে অন্যভাবে চিন্তা করতে হবে।’

     

    তাহলে বোর্ড এ ব্যাপারে কী ভাবছে? ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস বলেছেন, অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সম্পূর্ণ মাশরাফির নিজের ওপর, ‘দলকে এই মুহূর্তে খুবই ভালোভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে মাশরাফি, আমরা এই মুহূর্তে এই ব্যাপারে কিছুই ভাবছি না। সিদ্ধান্তটা নেওয়ার ভার তার ওপর, সে কতদিন খেলবে এবং দলকে নেতৃত্ব দেবে কি না। আমরা বলটা ওর কোর্টেই ঠেলে দিয়েছি। এই মুহূর্তে আমাদের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা আছে, আমরা এখন শুধু এটা নিয়েই ভাবছি।’

    দুই বছর আগে শ্রীলংকা সফরে টি-টোয়েন্টি থেকে হুট করে অবসর নিয়েছিলেন মাশরাফি। সামনে অবশ্য বাংলাদেশের ওয়ানডের চেয়ে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিই বেশি খেলতে হবে। বিশ্বকাপের পর শ্রীলংকায় ওয়ানডে খেলতে যাওয়ার কথা, এরপর ওয়ানডের জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে।