ইচ্ছা করে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করেননি ধোনি: কোহলি
হার্দিক পান্ডিয়া যখন আউট হন, ৩১ বলে ভারতের দরকার আরও ৭১ রান। ওভারপ্রতি যেখানে ১৪ রান করে প্রয়োজন, ক্রিজে থাকা মহেন্দ্র সিং ধোনিই তখন ভারতের শেষ ভরসা। তবে সবাইকে খানিকটা অবাক করেই কাল খেললেন শম্বুক গতির এক ইনিংস, কেদার যাদবও তাকে অনুসরণ করলেন একইভাবে। শেষ মুহূর্তে কোন লড়াই ছাড়াই তাই ভারত হারল ৩১ রানে। ধোনি-যাদবের এমন ম্যাড়ম্যাড়ে, রক্ষণাত্মক ব্যাটিং নিয়ে অনুমেয়ভাবেই উঠেছে প্রশ্ন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বিরাট কোহলি অবশ্য ধোনির পক্ষ নিয়ে বলেছেন, ধোনি চার-ছয় মারার চেষ্টা করলেও পেরে উঠতে পারছিলেন না।
শেষ মুহূর্তে ঝড়ো ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারে বহুবারই ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছেন ধোনি। কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ পাঁচ ওভারে তার দিকেই তাকিয়ে ছিল ভারত। ধোনি-যাদব জুটি শেষের দিকে শুধু সিঙ্গেলই নিয়েছেন। এই জুটি খেলেছে ৩১ বল, এর মাঝে ছিল সাতটি ডট, ২০টি সিঙ্গেল; ছয় ছিল মাত্র একটি, চার তিনটি। ধোনি অপরাজিত ছিলেন ৪২ রান করে, যাদব করেছেন ১২ রান। ধারাভাষ্যকার সৌরভ গাঙ্গুলি ও নাসের হুসাইন যেন ধোনির এমন ব্যাটিং দেখে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না!
কোহলি অবশ্য বলছেন, ইচ্ছা করে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করেননি ধোনি, ‘আমরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছি। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এটা কখনোই আপনাকে সাহায্য করবে না। শেষ জুটির ব্যাটিং নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আমার মনে হয় ধোনি মারতেই চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটে বল লাগছিল না। বোলাররা ভালো জায়গাতে বল করেছে, বল থেমে থেমে আসছিল ব্যাট। শেষের দিকে ব্যাটিং করা তাই অনেক কঠিন হয়ে পড়েছিল। এই ম্যাচে যা ভুল হয়েছে সেটা পরের ম্যাচে শুধরে নেওয়াই এখন আমাদের লক্ষ্য।’
বোলিংয়ের সময় কাল অনেক বেশি রান দিয়েছেন ভারতের বোলিংয়ের দুই বড় অস্ত্র জুজভেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ যাদব। ১০ ওভার বল করে চাহাল দিয়েছেন ৮৮ রান, উইকেট পাননি একটিও। কুলদীপ ৭২ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। ইংল্যান্ডের ইনিংসে ছিল ১৩টি ছয়।
কোহলি এজবাস্টনের ছোট মাঠ নিয়ে তাই একটু বিরক্তই বটে। ম্যাচ শেষে সঞ্জয় মঞ্জরেকরের প্রশ্নের জবাবে নিজের হতাশার কথাই জানিয়েছেন তিনি, 'টুর্নামেন্টে যত ছোট বাউন্ডারি রাখা যায়, কাকতালীয়ভাবে আজকের ম্যাচেই সেটা ছিল(৫৯ মিটার)। এমন ব্যাটিং সহায়ক পিচেও এরকম বাউন্ডারি লাইন থাকাটা এই প্রথমবার দেখছি। এটা খুবই অবাক করেছে আমাকে।'
যাদবকে কেন বোলিংয়ে আনেননি, সেটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কোহলি, 'ব্যাটসম্যান যদি রিভার্স সুইপে স্পিনারদের ছয় মারে, তাহলে আর কিছু করার থাকে না। তাদের অবশ্যই বুদ্ধিমতার সাথে ঠিক লাইনে বল করতে হতো। কিন্তু এতো ছোট বাউন্ডারি হলে রান আটকানো কঠিন।'