'শুধু ভাগ্যের জোরেই এতদূর এসেছে পাকিস্তান'
প্রথম পাঁচ ম্যাচে তিনটিতে হার, জয় মাত্র একটিতে, অন্য ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে পাকিস্তানের বাদ পড়া তখন সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল। তবে এরপরই বদলে গেছে পরিস্থিতি। টানা তিন ম্যাচ জিতে পাকিস্তান এখনো সেমিতে খেলার দৌড়ে টিকে আছে। পাকিস্তানের এমন পারফরম্যান্সও মন ভরাতে পারেনি সাবেক উইকেটকিপার কামরান আকমলের। দ্যা নেশন পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আকমল বলছেন, শুধু ভাগ্যের জোরেই এতদূর এসেছেন সরফরাজ আহমেদরা।
প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বাজেভাবে হেরেই বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন সরফরাজরা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল পাকিস্তান। নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে হারিয়েছে তারা। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারালে সেমিতে খেলার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হবে তাদের।
আকমলের মতে, ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের চেয়ে ভাগ্যই পাকিস্তানকে এই পর্যন্ত টেনে এনেছে, ‘ভাগ্যই এখন পর্যন্ত পাকিস্তানকে সেমিতে যাওয়ার পথে রেখেছে। দলের দিকে তাকালে সহজেই বুঝা যায়, তারা ম্যাচ জয়ের যোগ্য না। প্রতি ম্যাচে বহু ভুল করেও শেষ পর্যন্ত জিতেছে তারা। কিন্তু ভাগ্য কতক্ষণ আর সহায় হবে পাকিস্তানের? এখন উচিত নিজেদের পারফরম্যান্সের দিকে মনোযোগ দেওয়া।’
নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সাথে জিতলে সেমিতে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই সুগম হবে পাকিস্তানের। সেক্ষেত্রে রানরেটের হিসাব নিকাশটা সামনে আসবে। এখন পাকিস্তানের রান রেট -০.৭৯২। আগের ম্যাচগুলোতে এটা নিয়ে একদমই ভাবেননি সরফরাজ, দাবি আকমলের, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা ৫ ওভার আগেই জিততে পারত। কয়েকটা বাজে রানআউটের কারণে সেটা হয়নি। আফগানদের বিপক্ষেও একই কান্ড ঘটেছে। এরকম না হলে পাকিস্তানের রান রেট অনায়াসেই আরও ভালো থাকতে পারত।’
প্রতিপক্ষকে বেশি রান করতে দেওয়া যাবে না বলেই মানছেন আকমল, ‘পাকিস্তানের বোলাররা জানে কীভাবে উইকেট নিতে হয়। কিন্তু ৪-৫ উইকেট পড়ে গেলেও প্রতিপক্ষ শেষ পর্যন্ত অনেক রান করে। এরকম হলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ কিংবা বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব না। যদি পাকিস্তান বিশ্ব ক্রিকেটে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে চায়, তাহলে তাদের এসব ভুল শোধরাতে হবে।’