এমসিসির 'ভাবমূর্তি' রক্ষায় বাংলাদেশের ম্যাচে ২৫০ স্কুল শিক্ষার্থী
লর্ডসে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটার এখন কার্যত খুব একটা মূল্য নেই সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে। তাও দুই দেশের সমর্থকরা হয়ত পুরো স্টেডিয়ামটাই ভরিয়ে ফেলবেন। স্টেডিয়ামের সব প্রান্ত ভরপুর থাকলেও এমসিসির সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত গ্যালারিতে হয়ত থাকবেন না খুব বেশি দর্শক। কম দর্শকে এমসিসির ‘ভাবমূর্তি’ যেন নষ্ট না হয়, এজন্যই আগামীকালের ম্যাচে ২৫০ জন স্কুল শিক্ষার্থীকে খেলা দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে এমসিসি।
এই বিশ্বকাপেই প্রথমবারের মতো টিকেটের দাম দিয়ে খেলা দেখতে হচ্ছে এমসিসি সদস্যদের। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে অবশ্য এমসিসির সদস্যদের জন্য বরাদ্দ গ্যালারি পূর্ণই ছিল। তবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটি শুক্রবারে হওয়ায় বাড়তি ৪৫ পাউন্ড গুনতে হবে সদস্যদের। কালকের ম্যাচের ৫০ শতাংশ টিকেটই বিক্রি হয়নি এমসিসি সদস্যদের মাঝে।
২০১৭ সালের নারী বিশ্বকাপেও ঘটেছিল এমন ঘটনা। সেবার লর্ডসে ইংল্যান্ড-ভারত ফাইনালে পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ থাকলেও এমসিসির সদস্যদের অনেকেই খেলা দেখতে আসেননি। ওই ম্যাচের পর এমসিসির প্রধান নির্বাহী গাই ল্যাভেন্ডার বলেছিলেন, ঐতিহ্যবাহী সংস্থাটির সদস্যদের এমন উদাসীনতা তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে। এবারও অবস্থা বেগতিক দেখে ক্লাবের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিশেষ মেইল পাঠিয়েছেন তিনি, ‘শুক্রবারের ম্যাচটি ইংল্যান্ডের সেমিতে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবুও এত কম সদস্যদের টিকেট কেনা হতাশাজনক ব্যাপার। ২০১৭ নারী বিশ্বকাপের ফাইনালেও এমন হয়েছিল। এটা এমসিসির ভাবমূর্তি হুমকির মুখে ফেলেছে।’
এমসিসির গ্যালারি যেন ফাঁকা না লাগে, সেটার বিকল্প ব্যবস্থাও নিয়েছেন ল্যাভেন্ডার। ওয়েস্টমিনিস্টারের বিভিন্ন স্কুলের ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে সেখানে বসে খেলার দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে এমসিসি। যারা খেলা দেখতে আসবে, তাদের স্কুলের পোশাক পরা থাকতে হবে, সাথে থাকতে হবে শিক্ষককে। এমসিসির অন্য সদস্যদের টাই পরা বাধ্যতামূলক হলেও শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম শিথিল থাকবে।
ল্যাভেন্ডারের বিশ্বাস, এমসিসির গ্যালারিতে বসে খেলা দেখে শিক্ষার্থীদের দারুণ অনুভূতি হবে, ‘তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য স্মরণীয় একটা দিন হয়ে থাকবে এটা। একই সাথে আমাদের প্যাভিলিয়নের ফাঁকা স্থানগুলোও পূর্ণ হবে।’