ইংল্যান্ড উঠলে বিনামূল্যে ফাইনাল দেখাবে স্কাই
শেষ কবে স্কাই স্পোর্টসে বিনামূল্যে ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে পেরেছে ইংল্যান্ডের দর্শক, সেটা হয়ত মনে করতে সবার একটু সময়ই লাগবে। ২০০৫ সালের সালের পর আবারও হতে পারে এমন কিছু। স্কাই স্পোর্টসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইংল্যান্ড যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে ১৪ জুলাইয়ের ফাইনালটা সবার জন্য বিনামূল্যেই সম্প্রচার করবেন তাঁরা।
২০০৫ অ্যাশেজের পরই ইংল্যান্ড ক্রিকেট 'ফ্রি-টু-এয়ার' থেকে চলে যায় 'পে-পার-ভিউ' পদ্ধতিতে। সেবার ১৮ বছর পর অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করেছিলেন মাইকেল ভনরা। এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ফেভারিট ছিল ইংল্যান্ড। মাঝপথে কিছুটা খেই হারালেও শেষ পর্যন্ত সেমিতে উঠেছে অইন মরগানের দল। ১৯৯২ সালের পর এই প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিতে খেলবে ইংলিশরা।
১৯৭৯ সালে ঘরের মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে শিরোপা জেতা হয়নি। এরপর ইংল্যান্ডে দুইবার হয়েছে বিশ্বকাপ, একবারও ফাইনালে ওঠা হয়নি তাদের। স্কাইয়ের ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড অঞ্চলের প্রধান নির্বাহী স্টেফেন ফন রয়েন জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড ফাইনালে উঠলে সবাই স্কাই স্পোর্টসে ফাইনাল দেখতে পারবেন, ‘ঘরের মাঠে হওয়া বিশ্বকাপ সম্প্রচার করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের লক্ষ্য দেশের মাটিতে হওয়া এই অসাধারণ মুহূর্তটাকে উপভোগ করার সুযোগ করে দেওয়া। ইংল্যান্ড যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে যেন দেশের সবাই খেলাটা দেখতে পারে, সেই ব্যবস্থাই করবে স্কাই।’
স্কাইয়ের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে হয়ত আছে আরেকটি কারণ। স্কাই স্পোর্টসে এই বিশ্বকাপ যতজন দর্শক দেখেছে, তার চেয়ে বিবিসিতে দেখানো নারী ফুটবল বিশ্বকাপ দেখেছেন কয়েক গুণ বেশি মানুষ। নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্র-ইংল্যান্ড ম্যাচটি দেখেছেন ১ কোটি ১৭ লাখ দর্শক। অন্যদিকে মরগানদের খেলা দেখেছেন গড়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার দর্শক।
কিছুদিন আগে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইংলিশ পেসার লিয়াম প্নাংকেটও বলেছিলেন, বেশি থেকে বেশি দর্শক যেন বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে পারে এই ব্যবস্থাই করা উচিত, ‘আমি জানি না এমন কিছু করা হবে কিনা, কিন্তু সবাই যেন ম্যাচ সহজেই দেখতে পারে সেরকম কিছু করা দরকার। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা সবার জন্য গর্বের ব্যাপার, তাই আমরা চাই মানুষ সেটা দেখুক। আশা করি সবাই আমাদের খেলা দেখবে। আমরা যদি ফাইনালে খেলি, অনেক বেশি সংখ্যক যেন সেটা দেখে। আর আমরা জিতে গেলে সেটা অনেক বড় ব্যাপার হবে।’