• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    পাকিস্তান কোচের কাঠগড়ায় রান-রেটের নিয়ম

    পাকিস্তান কোচের কাঠগড়ায় রান-রেটের নিয়ম    

    সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের সামনে ছিল প্রায় অসম্ভব এক সমীকরণ, তাদের জিততে হতো অন্তত ৩১১ রানের বিশাল ব্যবধানে। সেটা অবশ্য আর হয়নি, বাংলাদেশকে ৯৪ রানে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সাথে সমান পয়েন্ট হলেও রান রেটে পিছিয়ে থাকায় বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। ম্যাচ শেষে পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার রান রেটের এমন নিয়মের কারণেই পাকিস্তান বাদ পড়েছে বলে হতাশা জানিয়ে বলেছেন, রান-রেটের বদলে আগে দেখা উচিৎ হেড-টু-হেড পদ্ধতি। 

    ৯ ম্যাচে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড দুই দলেরই পয়েন্ট ১১। কিউইদের রানরেট +০.১৭৫, পাকিস্তানের -০.৪৩০। নিউজিল্যান্ডকে টপকাতে হলে বাংলাদেশের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য ব্যবধানে জিততে হতো সরফরাজ আহমেদদের। পরে ব্যাটিং করলে তো টসের পরই হার নিশ্চিত হয়ে যেত তাদের! অন্যদিকে রানরেটের হিসাব না ধরে যদি হেড-টু-হেড পদ্ধতি ধরা হতো, তাহলে গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর সুবাদে সেমিফাইনালে উঠে যেত পাকিস্তানই।

    আর্থার মনে করেন, রান রেট নয়, হেড-টু-হেড পদ্ধতিটাই বিশ্বকাপে ব্যবহার উচিত ছিল, ‘আইসিসির উচিত ছিল হেড-টু-হেড পদ্ধতিটা আনা, তাহলে আমরা সেমিফাইনালে খেলতে পারতাম। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বড় হারের মাশুলটা দিতে হচ্ছে, এটা খুবই হতাশাজনক। অস্ট্রেলিয়াকেও হারানোর সুযোগ পেয়েছিলাম, কাজে লাগাতে পারিনি। এই দুটি দুঃস্বপ্নের ম্যাচই আমাদের সেমির আশা শেষ করে দিয়েছে।’ 

    ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডকে হারালেও সেমিতে না যাওয়ার আক্ষেপটা আরও বাড়ছে আর্থারের, ‘রান রেটের এই পদ্ধতির কারণে একটা ম্যাচ খারাপ খেলেই আমরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছি, যারা সেমিতে খেলবে। তাদের চেয়ে আমরা কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। দলের সবাই খুবই হতাশ, শেষ ম্যাচে জয়ের পরেও তাই কেউ কাউকে অভিনন্দন জানাচ্ছে না। সেমিতে যারা খেলবে তাদের শুভকামনা জানাতে চাই।’