• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    কলপ্যাক নিয়ে চিন্তিত ডু প্লেসি, বিশ্বকাপের পর ভাববেন ক্যারিয়ার নিয়ে

    কলপ্যাক নিয়ে চিন্তিত ডু প্লেসি, বিশ্বকাপের পর ভাববেন ক্যারিয়ার নিয়ে    

    কলপ্যাক চুক্তি কেড়ে নিয়েছে তাদের অনেক ক্রিকেটারকে। সামনেও যে দক্ষিণ আফ্রিকার কেউ এই চুক্তির জন্য জাতীয় দল ছাড়বেন না, সেই নিশ্চয়তাও নেই। একের পর এক প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে হারিয়ে চিন্তিত প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে ডু প্লেসি বলছেন, জাতীয় দল থেকে ক্রিকেটারদের এভাবে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ঠেকাতে এগিয়ে আসা উচিত আইসিসিরই। নিজের জাতীয় দলের ভবিষ্যত নিয়েও ভেবে দেখবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। 

    সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে কলপ্যাক চুক্তির কারণে প্রোটিয়া পেসার ডুয়াইন অলিভিয়ার জাতীয় দল থেকে অবসর নেন। কলপ্যাক চুক্তির মতো গত কয়েক বছরে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের টাকার ঝনঝনানিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেক ক্রিকেটারই জাতীয় দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অলিভিয়ারের অবসরের ঘোষণার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার বলেছিলেন, আইসিসি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার্স এসোসিয়েশনের উচিত হবে প্রতিটি দেশের ক্রিকেটারদের ন্যূনতম বেতন নিশ্চিত করা।


    আরও পড়ুন- কলপ্যাক কী, কেন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সেটি অভিশাপ


    ক্যারিয়ারের শুরুতে কলপ্যাক চুক্তির কথা ভেবেছিলেন খোদ ডু প্লেসিই। এবি ডি ভিলিয়ার্সের পরামর্শেই সেটা করেননি। কলপ্যাকের হাতছানিটা অগ্রাহ্য করা কতটা কঠিন, সেটা ভালোভাবেই জানেন ডু প্লেসি, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই ধরনের ক্রিকেটার আছে। কিছু টেস্ট ক্রিকেটার আছে যারা কলপ্যাকে যেতে চায়। অন্যদিকে সাদা বলে ভালো খেলা অনেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে মনযোগী হতে চায়। এই দুটিই আমাদের ক্রিকেটের জন্য হুমকির কারণ। আমাদের এই ওয়ানডে দলের অনেকেই অবসর নিয়ে টি-টোয়েন্টি লিগে পূর্ণ মনোযোগ দেবে। এছাড়াও অনেকে ওয়ানডে ছাড়ার কথা ভাববে, আমার ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য। বর্তমানে আমি শুধু বিশ্বকাপ নিয়েই ভাবছি। এই মুহূর্তে আবেগী হয়ে ক্যারিয়ারের কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। আমি কি ভবিষ্যতে তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাই? এটা কিছুটা সময় নিয়েই ভাবতে হবে। ’ 

    সব দেশে ন্যূনতম বেতন নিশ্চিত করলে অনেকটাই কমে আসবে কলপ্যাক- বিশ্বাস ডু প্লেসির, ‘ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া সবসময়ই বেশি বেতন দেবে ক্রিকেটারদের। যদি আইসিসির কারণে এটা বদলে যায়, তাহলে সেটা অন্যদের জন্য দারুণ হবে। ওই তিন দেশের আর্থিক অবস্থা অনেক শক্তিশালী, অন্য দেশের চেয়ে সুযোগ সুবিধাও বেশি পায় সবাই। এই ইস্যুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ একটা বড় উদাহরণ। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণেই তাঁরা অনেক ক্রিকেটারকে হারিয়েছে। বেতনের ব্যাপারটা ভবিষ্যতে ঠিক হবে এই অপেক্ষায় আছি। যদিও সহসাই এমন কিছু হওয়ায় সম্ভাবনা ক্ষীণ।'