মেসির দুই লাল কার্ড: মাঝে পেরিয়ে গেছে ১৪ বছর
ফুটবলের ভালো ছেলে হিসেবে নাম ডাক আছে লিওনেল মেসির। অথচ তিনিই আর্জেন্টিনার হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন লাল কার্ড দেখে। ২০০৫ এর পর এবার ১৪ বছর পর আবারও একই অনুভূতি হলো মেসির। বার্সেলোনার হয়ে ৭১৯ ম্যাচ খেললেও কখনও লাল কার্ড দেখেননি তিনি। 'ভালো ছেলে' তকমাটা গায়ে সেঁটে যাওয়ার পর পেতে পারতেন এমন অনেক ম্যাচেও রেফারির দৃষ্টি এড়িয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু মেসি অবশ্য ভাবতে পারেন, যে দুবার লাল কার্ড দেখেছেন, সে দুইবারই তার সঙ্গে হয়েছে অবিচার। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত মাত্র দু'বার লাল কার্ড দেখেছেন মেসি, দু'বারই আর্জেন্টিনার হয়ে।
প্রথম লাল কার্ড: প্রতিপক্ষ হাঙ্গেরি (১৭ আগস্ট, ২০০৫, ফেরেঙ্ক পুসকাস স্টেডিয়াম, ৬৫ মিনিট)
আর্জেন্টিনার হয়ে ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন মেসি। মাসখানেক পরই হোসে পেকারম্যানের হাত ধরে ‘আলবিসেলেস্তে’দের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল তার। হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৬৩ মিনিটে লিসান্দ্রো লোপেজের জায়গায় অভিষেক হয়েছিল তার। কিন্তু দেশের হয়ে অভিষেকের স্মৃতি মিনিট দুয়েক পরই দুঃস্মৃতিতে পরিণত হয় মেসির। ৬৫ মিনিটে হুয়ান পাবলো সোরিনের পাস বাড়িয়েছিলেন মেসিকে। বল পায়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে মেসির জার্সি টেনে ধরেন হাঙ্গেরি ডিফেন্ডার ভিলমস ভানজাক। হাঙ্গেরি ডিফেন্ডারকে ছোটানোর সময় তার মুখে আঘাত করে বসেন মেসি। ফাউলের বাঁশি দেন রেফারি, তাকে ঘিরে ধরেন হাঙ্গেরির ফুটবলাররা। মেসিকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন মেসি। ম্যাচ শেষে পেকারম্যান জানিয়েছিলেন, ম্যাচের পরও ড্রেসিংরুমে কান্না থামেনি মেসির।
দ্বিতীয় লাল কার্ড: প্রতিপক্ষ চিলি (৭ জুলাই, ২০১৯,করিন্থিয়াস অ্যারেনা, ৩৭ মিনিট)
ব্রাজিলের কাছে সেমিফাইনাল হারা আর্জেন্টিনা চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। মেসির পাস থেকে গোল করে ‘আলবিসেলেস্তে’দের ২-০ গোলে এগিয়ে দিয়েছিলেন সার্জিও আগুয়েরো এবং পাউলো দিবালা। কিন্তু ৩৭ মিনিটেই বাধে বিপত্তি।
মেসির দিকে পাস বাড়িয়েছিলেন দিবালা। বল দখলে আনার সময় মেসির সাথে ধাক্কা লাগে চিলি অধিনায়ক গ্যারি মেডেলের। বল গোলকিকের জন্য বাইরে যেতেই মেসিকে ধাক্কা দেন মেডেল, ছেড়ে দেননি মেসিও। দুজনের ধাক্কাধাক্কির সময় তাদের আলাদা করতে ছুটে আসেন দু’দলের ফুটবলাররা, এগিয়ে আসেন রেফারিও। সরাসরি লাল কার্ড দেখান দুজনকেই। ‘ভিএআর’-এ রিপ্লে দেখার পরও সিদ্ধান্ত বদলাননি রেফারি। মেডেল ধাক্কাধাক্কি শুরু করলেও লাল কার্ড দেখায় হয়তো নিজেকে কিছুটা দুর্ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন মেসি। পুরো ঘটনায় তার চেয়ে মেডেলের দোষই হয়তো ছিল বেশি।