লাইভ আপডেট : পেরু পেরিয়ে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল
ম্যাচ রিপোর্ট পড়তে ক্লিক করুন, মারাকানায় গল্প জমিয়ে নবম শিরোপা জিতল ব্রাজিল
মারাকানায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আবারও দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা অর্জন করেছে ব্রাজিল। এই নিয়ে ব্রাজিলের কোপার শিরোপা দাঁড়াল নয়। আর ঘরের মাঠে পাঁচে পাঁচ পূরণ হয়েছে সেলেসাওদের। এর আগে আয়োজক হিসেবেও চারবার শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল।
১৫ মিনিটে এভারটন গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৪১ মিনিটে পেরুকে পেনাল্টি দিয়ে বসেন থিয়াগো সিলভা। পাওলো গেরেরো গোল করে দলকে সমতায় ফেরালেও স্বস্তি বেশিক্ষণ টেকেনি পেরুর। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে গ্যাব্রিয়েল হেসুস গোল করে এগিয়ে নিয়ে যান ব্রাজিলকে। ৭০ মিনিটে সেই হেসুসই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশ জনের পরিণত হয় তিতের দল। পরে অবশ্য পেনাল্টি থেকে আরেক গোল করে রিচার্লিসন নিশ্চিত করেছেন ব্রাজিলের জয়।
লাইভ আপডেট
পিপ, পিপ পিইইইপ! রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশি, চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল!
ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই ব্রাজিলের পুরো দল ঢুকে গেছে মাঠে। উদযাপন শুরু হয়ে গিয়েছিলে আগে থেকেই। ৩-১ গোলে জিতেই নবমবারের মতো কোপা আমেরিকা ঘরে তুলল ব্রাজিল।
৮৯’ ব্রাজিল ৩-১ পেরু
এভারটনের গতি পেরুর ডিফেন্ডারদের ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে পুরো ম্যাচেই। ৮৭ মিনিটে আরেকবার ঝড় তুললেন এভারটন, ডানদিক থেকে কাট করে ঢুকে গেলেন ভেতরে। পেরু গোলরক্ষক এগিয়ে আসছিলেন বল নিতে। আর এভারটনের লক্ষ্য ছিল ওই বল ধরা। কোনোভাবেই হয়ত পারতেন সেটা ২৩ বছর বয়সী। তার আগেই ডিফেন্ডার জামব্রানোর শোল্ডার চ্যালেঞ্জে ডিবক্সের ভেতর পড়ে গিয়েছিলেন এভারটন। রেফারিও সঙ্গে সঙ্গে দিয়েছেন পেনাল্টি। এরপর ভিএআরের সাহায্য নিয়ে আরও একবার নিশ্চিত হয়েছেন নিজের সিদ্ধান্তটা।
পেনাল্টি থেকে রিচার্লিসন মেরেছেন বামদিকে বটম কর্নারে। গোল দিয়েই উৎসব শুরু করে দিয়েছে ব্রাজিল। শিরোপা সুবাস পাচ্ছে সেলেসাওরা।
৮০’ ব্রাজিল ২-১ পেরু
ম্যাচের ঘন্টা খানেক পার হওয়ার পর চাপে পড়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। পেরুর আক্রমণ সামলাতে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই হিমশিখ খেতে হচ্ছিল তাদের। একটি গোল দরকার ছিল তখন ব্রাজিলের। অস্বস্তিটা পরে পরিণত হয়েছে শঙ্কায়, গ্যারিয়েল হেসুস লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর। ম্যাচের বাকি দশ মিনিট, রবার্তো ফিরমনোকেকে তুলে রিচার্লিসনকে নামিয়েছেন তিতে। আরও একটি বদল করেছেন এরপর। কুতিনিয়োকে বিসর্জন দিয়ে নামিয়েছেন আরেকজন ডিফেন্ডার, এডার মিলিতাওকে।
৭০' দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলেন হেসুস
বেশ অনেকক্ষণ ধরেই দুইজনের হাতাহাতি হচ্ছিল, আন্দ্রে কারিয়োর কাছে কিছুক্ষণ আগেও ফাউলের শিকার হয়েছিলেন। পরেরবার ফাউল করে বসলেন হেসুস। চিলিয়ান রেফারি রবার্তো তোবার দ্বিতীয় হলুদ কার্ড বের করেছেন সঙ্গে সঙ্গে। ম্যাচের ৩০ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ডটা দেখেছিলেন হেসুস। সরাসরি লাল কার্ড না হলে ভিএআরে রিভিউয়ের সুযোগ নেই। তাই বলবত আছে সেই সিদ্ধান্তই। আপাতত ১০ জনের দল নিয়ে খেলছে ব্রাজিল। এগিয়ে আছে তারা ২-১ গোলেই। তবে পেরু চাপে রেখেছে ব্রাজিলকে।
৬০’ ব্রাজিল ২-১ পেরু
ডানদিক থেকে আলভেজ আর হেসুস, বাম দিক দিয়ে এভারটন আর সান্দ্রো- ব্রাজিলের দুই উইং নাভিশ্বাস তুলে দিচ্ছে পেরুর। ৫৬ মিনিটে আরও একবার ক্রস পড়েছিল তাদের বক্সের ভেতর, এবার এভারটন আর সান্দ্রোর গোছানো এক আক্রমণের পর। কিন্তু ফিরমিনোর হেড আরও একবার গেছে বাইরে দিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলকে আক্রমণে ধারালো মনে হচ্ছে আরও। ম্যাচের এক ঘন্টা পর ব্রাজিলের বল পজেশন ৬১ শতাংশ।
৫৫’ ব্রাজিল ২-১ পেরু
কুতিনিয়োর শট ডিবক্সের ঠিক সামনে ব্লক করার পর ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে পারেনি পেরু। লুজ বল পেয়ে গিয়েছিলেন রবার্তো ফিরমিনো। কোণাকুণি শট করেছিলেন বক্সের ভেতর ডান কোণা থেকে। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। এর ৫ মিনিট আগে কুতিনিয়োও শট করেছিলেন, তবে সেটা গেছে বাইরে দিয়ে।
প্রথমার্ধ শেষে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেরুর বিপক্ষে ২-১ গোলে এগিয়ে আছে ব্রাজিল। এভারটনের ১৫ মিনিটের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর পেরু ম্যাচে ফিরেছিল পেনাল্টি থেকে গোল করে। কিন্তু টুর্নামেন্টে প্রথম গোল হজম করার পর পাঁচ মিনিটও পিছিয়ে থাকতে হয়নি ব্রাজিলকে। এর আগেই ব্রাজিল এগিয়ে গেছে ম্যাচে। ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল হেসুস আরেক গোল দিয়ে এগিয়ে নিয়েছেন ব্রাজিলকে।
৪৫+৩' গোওওওওল! ব্রাজিল ২-১ পেরু
সমতায় থেকেই ম্যাচ বিরতিতে যাবে বলে হচ্ছিল। কিন্তু ব্রাজিলের অস্বস্তি বাড়তে দিলেন না হেসুস। নিজের পজিশনে বল হারিয়েছিল পেরু। কাজের কাজটা করেছেন ফিরমিনো। বল দখল করে পাস দিয়েছেন আর্থারকে। পরে আর্থার মেলোর পাস ডিবক্সের ঠিক মাথায় খুঁজে পেয়েছিল হেসুসকে। সেখান থেকেই নিচু শটে বাম কোণায় বল জড়িয়ে ব্রাজিলকে এগিয়ে নিয়েছেন তিনি।
৪২’ পেনাল্টি, গোল! ব্রাজিল ১-১ পেরু
ডান দিক থেকে পেরুর দুই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্লোরেস ও কুয়েভা দারুণ এক আক্রমণ সাজিয়ে ডিবক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন ওয়ান টু করে। এরপর কুয়েভার করলেন ক্রস, সেটা ঠেকাতে গিয়ে হাতে লেগে গেছে থিয়াগো সিলভার। রেফারি সঙ্গে সঙ্গেই পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছেন। এদিন অবশ্য ভিএআর রেফারিকে নিজের সিদ্ধান্ত আরেকবার ঝালিয়ে নেওয়ার পরমার্শ দিল। রেফারিও মাঠের বাইরে গিয়ে আরেকবার দেখে নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন।
স্পটকিক থেকে পেরুর ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা পাওলো গেরেরো গোল করে পেরুকে সমতায় ফিরিয়েছেন। অ্যালিসন ঝাঁপ দিয়েছিলেন যেদিকে, তার উলটো দিকে মেরেছেন গেরেরো। অ্যালিসন এই টুর্নামেন্টে খেলেন নিজের প্রথম গোল।
ফিফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী ডিবক্সের ভেতর প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগলেই পেনাল্টি দেওয়ার কথা। সেটা ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত তা আর বিচার করা হবে না। আর থিয়াগো সিলভার হাতও ছিল এক্সটেন্ডেড। নতুন বা পুরনো দুই নিয়মে তাই রেফারির সিদ্ধান্তকে সঠিকই মনে হয়েছে।
৩৬’ ব্রাজিল ১-০ পেরু
বাম দিক থেকে দারুণ এক আক্রমণ সাজানোর পর অ্যালেক্স সান্দ্রো ফারপোস্টে ক্রস করেছিলেন। জায়গামতো থাকা ফিরমিনোও হেড করলেন। কিন্তু নিচে রাখতে পারেননি বল। সুযোগ নষ্ট ব্রাজিলের।
২৫’ ব্রাজিল ১-০ পেরু
মারাকানায় আপাতত চলছে মেক্সিকান ওয়েভ। সমর্থকদের উল্লাসটা আরও বাড়িয়ে দিতে পারতেন অবশ্য ফিলিপ কুতিনিয়ো। বামদিক থেকে রবার্তো ফিরমিনোড় করা ক্রসে পাও লাগিয়েছিলেন ঠিকঠাক। সোজাসুজি বুটে মারতে চেয়েছিলেন। অল্পের জন্য লক্ষ্য মিস করেছেন কুতিনিয়ো। পেরু ডিফেন্ডারের অবশ্য ক্রেডিট পাওনা আছে, ভালো চাপে রেখেছিলেন তিনি ব্রাজিলয়ানকে।
১৫' গোওওওওওল! ব্রাজিল ১-০ পেরু
শুরুটা তেমন ভালো ছিল না ব্রাজিলের। তবে ১০ মিনিটের পর বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠেছিল তারা। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত শুরুটাও পেয়ে গেছে সেলেসাওরা। আরও একবার ডানদিকে দানি আলভেজ রেখেছেন বড় ভূমিকা। নিজের অর্ধ থেকে রাইট উইংয়ে লং বল পাঠিয়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল হেসুসকে। তিনি দারুণ এক টার্ন নিয়ে নিখুঁত ক্রস করেছিলেন ফারপোস্টে। গোলের সামনে ব্রাজিলের দুইজন খেলোয়াড়কে পাহারা দিতে ব্যস্ত ছিলেন পেরুর তিন ডিফেন্ডার। ফাঁকায় ছিলেন এভারটন। ডান পায়ের হাফভলিতে গোল করে মারাকানার উদযাপন বাড়িয়ে দিয়েছেন গ্রেমিও স্ট্রাইকার।
|
১০’ ব্রাজিল ০-০ পেরু
ধীর স্থির শুরু করেছে ব্রাজিল। প্রথম দশ মিনিটে পেরুই বরং ব্রাজিলের অর্ধে বেশি সময় পার করেছে। যদিও সেভাবে সাজানো কোনো আক্রমণ নেই তাদেরও। ব্রাজিলের ডিফেন্স লাইনের পেছন বল ফেলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছে পেরু। ব্রাজিল আক্রমণে উঠলে অবশ্য তাদেরকেই বেশি ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছে।
রাত ১.৫০ মিনিট
মারাকানায় ওয়ার্ম আপ শেষ করে দুই দলই ফিরে গেছে ড্রেসিংরুমে। ম্যাচ শুরু হতে বাকি আর ১০ মিনিট। তার আগে হয়ে গেছে ছোট খাটো একটা বিদায়ী অনুষ্ঠান। স্ট্যান্ডে আছেন নেইমারও।
অনুশীলন
মারাকানায় রাত দুইটায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক ব্রাজিল ও পেরু। আর্জেন্টিনাকে সেমিফাইনালে হারিয়ে এক যুগ পর ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। আর চিলিকে চমকে দিয়ে ৪৪ বছর পর কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনল নিশ্চিত করেছে পেরু। মারাকানার ফাইনালটা তাই ব্রাজিলের জন্য সব হারানোর, আর পেরুর জন্য সব পাওয়ার লড়াই। অনুমিত ভাবেই স্বাগতিকরা পরিস্কার ফেভারিট ম্যাচের। ইতিহাসও ব্রাজিলের পক্ষে পুরোপুরি। ঘরের মাঠে যে চারবার কোপার আয়োজক ছিল ব্রাজিল, তার প্রত্যেকবারই শিরোপা জিতেছে তারা। আর এবার তো দুর্দান্ত গতিতে ছুটে চলেছে তিতের দল। এখনও পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলার পরও ব্রাজিলের বিপক্ষে গোল করতে পারেনি কোনো দল।
এবারের টুর্নামেন্টে দুইদলের এটি দ্বিতীয় দেখা। গ্রুপপর্বের ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে পেরু হেরেছিল ৫-০ গোলে। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় জয় আর হারের ব্যবধান ওই ম্যাচেই হয়েছে। দুই দলের বিস্তর ফারাক একপেশে কোনো ফলের পুনরাবৃত্তি করতে পারে আবারও। তবে ব্রাজিলের কাছে হারের পর বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনে পেরু কোচ রিকার্ডো গারেচা অবশ্য সুফল পেয়েছিলেন। সেই ঝাঁঝেই চিলিকে উড়িয়ে দিয়ে পেরু উঠেছে ফাইনালে। গারেচা নিজেও আর্জেন্টাইন, ছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলেও।
ফাইনালের আগে একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেননি ব্রাজিল কোচ তিতে। সেমিফাইনালের একাদশটাই বাছাই করেছেন তিনি। আর আগের দুই ম্যাচের মতো ফাইনালেও জায়গা হয়নি পেরুর জেফারসন ফারফানের।
ব্রাজিল
অ্যালিসন; আলভেস, সিলভা, মার্কিনহোস, সান্দ্রো; কাসেমিরো, আর্থার; হেসুস, কুতিনিয়ো, এভারটন; ফিরমিনো
পেরু
গালিসি; আদভিঙ্কুলা, জাম্ব্রানো, আব্রাম, ট্রাউকো; ইয়োতুন, তাপিয়া; ফ্লোরেস, কুয়েভা, কারিও; গুরেরো
ব্রাজিল-পেরু ফাইনালের প্রিভিউ পড়ুন, কিক অফের আগে: শিরোপার সঙ্গে ব্রাজিলের লক্ষ্য সমর্থকদের ভালোবাসাও ফিরে পাওয়া