মুমিনুলের পর কর্ণাটকে শান্তর সেঞ্চুরি
দ্বিতীয় দিন শেষে
বিসিবি একাদশ ১৪৮ ওভারে ৫০০/৭ ডিক্লে (মুমিনুল ১৬৯, শান্ত ১১৮, জহুরুল ৯৬, আরিফুল ৭৭; নালকান্দে ৪/৭৯)
বিদর্ভ অ্যাসোসিয়েশন ৩০ ওভারে ১১৪/১ (সঞ্জয় ৪৯, কোলহার ৬২*; তাইজুল ১/১৫)
কর্ণাটকে প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি পেয়ে গিয়েছিলেন মুমিনুল হক, দ্বিতীয় দিনে হাতছানি দিচ্ছিল ডাবল সেঞ্চুরি। সেটা অবশ্য হয়নি, তবে নাজমুল হোসেন শান্ত পেয়েছেন সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় দিন শেষে কর্ণাটকে কে থিম্মাপ্পিয়া মেমোরিয়াল টুর্নামেন্টে শক্ত অবস্থানে চলে গেছে বিসিবি একাদশ, ৭ উইকেটে ৫০০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান তুলেছে বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
৩০৭ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল বিসিবি একাদশ। মুমিনুল অপরাজিত ছিলেন ১৫৭ রানে। আজ অবশ্য খুব বেশি বড় করতে পারলেন না ইনিংসটা, আগের দিনের সঙ্গে ১২ রান যোগ করেই আউট হয়ে গেলেন দর্শন নালকান্দের বলে। শান্তর সঙ্গে ১১৬ রানের জুটিটাও ভেঙে গেল। ইয়াসির আলী চৌধুরী এলেন পাঁচে, দ্রুত দুইটি চারও মারলেন। কিন্তু তার পরের বলেই হয়ে গেলেন এলবিডব্লু। উইকেটকিপার নুরুল হাসানও ২ রান করে আউট, ৩৫৪ রানে ৫ উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
শান্ত আর আরিফুল হক মিলে সেখান থেকে টেনে তুললেন দলকে। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন যোগ করলেন আরও একটি শতরানের জুটি। এর মধ্যে সেঞ্চুরি পাওয়া হয়ে গেছে শান্তর। শেষ পর্যন্ত ২১৯ বলে ১১৮ রান করে থেমেছেন, ১৩টি চারের সঙ্গে মেরেছেন দুইটি ছয়ও। আরিফুও পেয়ে গেছেন ফিফটি, টেল এন্ডারদের নিয়ে আরও কিছুক্ষণ চালিয়ে গেছেন লড়াই। ৫০০ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করেছেন অধিনায়ক মুমিনুল। আরিফুল অপরাজিত ছিলেন ১৪২ বলে ৭৭ রান করে, পাঁচটি চারের সঙ্গে মেরেছেন পাঁচটি ছয়ও।
এরপর ব্যাট করতে নেমে অবশ্য বিসিবি একাদশকে অনেকক্ষণ ভুগিয়ে গেছেন বিদর্ভের দুই ওপেনার। তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেন ওপেনিং স্পেলে কোনো উইকেট পাননি, এরপর নাঈম হাসান ও আরিফুল হকও পারেননি ব্রেকথ্রু এনে দিতে। শেষ পর্যন্ত তাইজুল ইসলামই এসে ভেঙেছেন জুটি, তার বলেই স্টাম্পড হয়ে গেছেন বিদর্ভের ওপেনার সঞ্জয়। ১১৪ রান ভেঙ্গেছে ওই জুটি, এরপর শেষ হয়ে গেছে দিনের খেলা।