সব ফরম্যাটেই আফগানিস্তানের নতুন অধিনায়ক রশিদ খান
আফগানিস্তানের নেতৃত্বে আবার এসেছে পরিবর্তন। এবার সব ফরম্যাটেই রশিদ খানকে করা হয়েছে অধিনায়ক। তার সহকারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগানের নাম। এর আগে শুধু টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয়েছিল তাকে, এবার পেলেন সব ফরম্যাটেরই দায়িত্ব।
বিশ্বকাপের আগ দিয়ে নেতৃত্বে পরিবর্তন এনেছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে অধিনায়কত্ব করা আসগরকে সরিয়ে ওয়ানডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গুলবাদিন নাইবকে। তবে বিশ্বকাপে তার নেতৃত্ব হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে বোলিং পরিবর্তন এসেছিল আলোচনায়। বিশ্বকাপে জয় ছাড়াই টেবিলের তলানী থেকে ফিরেছে আফগানিস্তান, যারা টুর্নামেন্টে গিয়েছিল বাছাইপর্বের চ্যাম্পিয়ন হয়ে।
নাইবকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তটাও ছিল বিতর্কিত। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের আগে আসগরের মতো অভিজ্ঞ একজনকে কেন সরিয়ে দেওয়া, প্রকাশ্যে সে প্রশ্নও তুলেছিলেন রশিদ, মোহাম্মদ নবিরা। তবে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত। সে ভবিষ্যতটা নাইবের জন্য ফুরিয়ে এলো দ্রুতই।
নাইবকে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের সঙ্গে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল ব্যাটসম্যান রহমত শাহর নাম। তবে অধিনায়কত্ব করার আগেই সে দায়িত্ব হারিয়ে ফেলছেন তিনি।
ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, বিশ্বকাপের আগেই ওয়ানডে অধিনায়কত্বের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল ২০ বছর বয়সী রশিদকে। তবে সে প্রস্তাব গ্রহণ করেননি তিনি। এবার নিচ্ছেন সেই দায়িত্বটা।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিজুল্লাহ ফাজলি বলেছেন, “আমি এবং অন্যান্য বোর্ড সদস্যরা গতকাল প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে তার সঙ্গে দেখা করেছি। এসিবির প্রতি প্রেসিডেন্ট পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন, ক্রিকেটের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।”
বোর্ড সদস্য ও প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে কথা বলেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর রশিদ বলেছেন, দলের ভেতর কোনও ঝামেলা নেই তাদের, “দলে কোনও ব্যাপার নেই। আমরা এক দল হয়ে খেলি, এক দেশের হয়ে খেলি। আমি আজ যাই হই না কেন, সেটা এই দল ও দেশের কারণেই।”