বিশ্বকাপের পর এবার অ্যাশেজে নজর স্টোকসের
ফাইনালে ইংল্যান্ডকে শিরোপা এনে দেওয়ার নায়ক তিনিই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রান তাড়া করতে নেমে দল যখন ধুঁকছে, বেন স্টোকসই হাল ধরেছিলেন ইংল্যান্ডের। অপরাজিত থেকে ম্যাচ টাই করেছেন, সুপার ওভারেও তিনি ছিলেন। অনেক অপেক্ষার পর নাটকীয় এক ফাইনাল জিতে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে ইংলিশরা। এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টোকস বলছেন, এখন তার নজর ঘরের মাঠে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারে।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ ব্যবধানে হেরে অ্যাশেজ খুইয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই অ্যাশেজের আগে ব্রিস্টলের এক পানশালার বাইরে মারামারির ঘটনায় নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্টোকস। তার অভাবটা ওই অ্যাশেজে ভালমতোই টের পেয়েছে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের পর এবার অ্যাশেজটাও ইংল্যান্ডে ফিরিয়ে আনতে চান স্টোকস, ‘আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি অ্যাশেজটাও জিততে চাই। সবাই এখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ভালো মুডে আছে, কিন্তু অ্যাশেজ এলে আমাদের এসব ভুলে নতুন করেই শুরু করতে হবে। এছাড়া কোনো উপায়ও নেই। আপনি হারেন কিংবা জেতেন, নতুন ম্যাচ খেলতে নামলে আগেরগুলো ভুলে যেতে হবে।’
প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে হয়েছে সুপার ওভার, সেটাও আবার বিশ্বকাপের ফাইনালে। সুপার ওভারেও টাই হওয়ায় বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। স্টোকসও বলছেন, এবারের ফাইনালটাই বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা, ‘বিশ্বকাপ জেতার অনুভূতিটা অসাধারণ। এবার শিরোপা জিততে না পারলে খুব বেশি ভেঙে পড়তাম সবাই। এবারের ফাইনালটা বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা। এটার অংশ হতে পেরে দারুণ লাগছে।’
মাঝরাতে ব্রিস্টলের এক পানশালার বাইরে ঘুষি মারা সেই ঘটনায় স্টোকসের ক্যারিয়ারটাই শেষ হয়ে যেতে পারত। স্টোকস বিশ্বাস করেন, ওই ব্যাপারগুলো আর কেউ মনে রাখেনি, ‘ওসব সবাই ভুলে গেছে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎটাই আসল। এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করছি। দলের সবাই এমনটা করছে, এটার যোগ্য তারা। গলায় চ্যাম্পিয়নের মেডেলটা পরে খুব ভালো লাগছে।’
নির্ধারিত সময়ের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের পর ফাইনালের সুপার ওভারেও নেমেছিলেন স্টোকস। ওই সময়ের অনুভূতিটাও জানিয়েছেন তিনি, ‘যখন এক বলে দুই রান দরকার, তখন ভেবেছিলাম বল যেন আকাশে না ওঠে ও ক্যাচ না হয়। ছয় মেরে নায়ক বনে যেতে চাইনি আমি। দুই রান নিতে পারলে দারুণ হতো। ১০ মিনিটের মাঝে আবার সুপার ওভারে ব্যাটিং করতে নামায় খুশি হতে পারছিলাম না। নিজের ওপরই রাগ হচ্ছিল। মনোযোগ ফিরিয়ে আনাটা জরুরি ছিল। কারণ তখনো অনেক কাজ বাকি ছিল।’