• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    ভাইয়ের মৃত্যুর শোক আড়ালে রেখেই বিশ্বকাপ খেলেছেন আর্চার

    ভাইয়ের মৃত্যুর শোক আড়ালে রেখেই বিশ্বকাপ খেলেছেন আর্চার    

    মুখে তাঁর সবসময় হাসি লেগেই থাকে। ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসেই বাজিমাত করেছেন ২৪ বছর বয়সী জফরা আর্চার। লর্ডসের ফাইনালে সুপার ওভারটাও করেছেন তিনিই। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের এতো আনন্দের মাঝেও যে বুকের ভেতর বড় একটা ব্যথা নিয়ে ঘুরছেন আর্চার, সেটা হয়ত জানতেন না কেউই। ফাইনালের পর আর্চারের বাবা ফ্র্যাঙ্ক দ্যা টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ শুরুর একদিনের মাথায় আর্চারের কাজিনকে গুলি করে হত্যা করেছিল দুর্বৃত্তরা। সেই শোক আড়ালে রেখেই পুরো বিশ্বকাপে খেলেছেন আর্চার। 

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ১০৪ রানের জয়ের পর নির্ভার ইংল্যান্ড দল হোটেলে বিশ্রাম নিচ্ছিল। অনেক আলোচনার পর বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পেয়ে ২৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার ছিলেন আর্চারই, ছিলেন দারুণ মুডে। ঠিক সেই সময় বেজে ওঠে তার ফোন। অন্য প্রান্ত থেকে বাবা খবর দেন, বারবাডোসে এক দুর্বৃত্তের গুলিতে মারা গেছেন আর্চারের কাজিন আশান্তিও ব্ল্যাকম্যান। 

    অন্য দশজন কাজিনের চেয়ে ২৪ বছর বয়সী আশান্তিও ছিলেন আর্চারের খুব কাছের। দুজনে বেড়ে উঠেছেন একসাথে, অনেক ক্রিকেটও খেলেছেন। ভাই ও প্রিয় বন্ধুর এমন মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছিলেন না তিনি। কিন্তু নিজের শোকটা কখনোই প্রকাশ করেননি আর্চার। বিশ্বকাপ শেষে ২০ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা ছিল তারই। 

    আর্চারের বাবা জানিয়েছেন, আশান্তিওর মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছিলেন আর্চার, ‘তারা দুইজন সমবয়সী ছিল। মারা যাওয়ার আগের দিনও দুইজনের কথা হয়েছে। এমন কাছের মানুষের মৃত্যু আর্চারকে খুব কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু সে এই কষ্ট চেপে রেখেই এগিয়ে গেছে। বিশ্বকাপের সময় এটা তাকে করতেই হতো।’ 

    আশান্তিও যেখানেই আছেন, আর্চারের সাফল্য দেখে নিশ্চয়ই খুব গর্বিত।