ফিফা টুয়েন্টিতে থাকছে না 'জুভেন্টাস'
মাঠে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বনাম লিওনেল মেসি, বার্সেলোনা বনাম রিয়াল মাদ্রিদের মত ফুটবল ভিডিও গেমের জগতে ফিফা বনাম প্রো এভ্যুলুশন সকার (পিইএস)- এর প্রতিদ্বন্দ্বীতাও যেন একেবারে সমানে সমান। পিইএস-এর চেয়ে ফুটবল ভিডিও গেমপ্রেমীদের কাছে হয়তো ইএ স্পোর্টসের ফিফার জনপ্রিয়তাই বেশি। গেমারদের মত ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর ভোটও ফিফা গেমের বক্সেই, অধিকাংশ দলই ইএ স্পোর্টসের সাথে চুক্তিবদ্ধ। তবে ফিফার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতার লড়াইয়ে দারুণ এক পদক্ষেপ নিয়েছে পিইএস। জুভেন্টাসের সাথে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছে তারা, তাই ফিফা টুয়েন্টিতে থাকছে না জুভেন্টাসের অফিশিয়াল স্টেডিয়াম বা জার্সি।
ফিফা টুয়েন্টিতে তাই জুভেন্টাসের ক্ষেত্রে ডিফল্ট স্টেডিয়ামই ব্যবহার করতে হবে ইলেক্ট্রনিক আর্টসকে (ইএ স্পোর্টস)। ফুটবলারদের নাম, জার্সি নম্বর অবশ্য থাকছে অপরিবর্তিত। কিন্তু পিইএস-এর সাথে জুভেন্টাস চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় ফিফা ২০-এর প্রচ্ছদে রোনালদোর থাকা নিয়ে আছে সংশয়। ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের নামও বদলে ফেলেছে ফিফা, মরিজিও সারির দলের নাম হতে যাচ্ছে 'পিয়েমন্তে কালসিও'। কোনামি স্পোর্টসের পিইএস-এ অবশ্য জুভেন্টাসের স্টেডিয়াম, জার্সিসহ থাকছে সবই। শুধু জুভেন্টাস নয়; বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মত বড় দলের সাথেও চুক্তি আছে কোনামির। পিইএস ২০২০-তে তাই জুভেন্টাসের মত তাদেরও স্টেডিয়াম, ফুটবলার, জার্সি সবই পাওয়া যাবে।
তবে আপাতত শুধু জুভেন্টাসই থাকছে না ফিফা ২০-তে। পিইএস ২০-এর মত ফিফাতে আছে বার্সা, বায়ার্নও। সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসছে পিইএস ২০২০। একই মাসের ২৭ তারিখ আসছে ফিফা ২০।