ফাইনালে সুপার ওভার আছে জানতেন না বোল্ট
ওয়ানডেতে এর আগে কখনোই হয়নি সুপার ওভার। প্রথমবারের মতো ৫০ ওভারের ম্যাচে সুপার ওভার দেখা গেলো বিশ্বকাপের ফাইনালেই। রোমাঞ্চকর সেই সুপার ওভারও টাই হয়েছে, বাউন্ডারিতে এগিয়ে থাকায় শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। দেশে ফেরার পর নিউজিল্যান্ডের হয়ে সেই সুপার ওভারে বোলিং করা ট্রেন্ট বোল্ট জানালেন, লর্ডসের ফাইনালে যে সুপার ওভার আছে, সেটা তিনি জানতেনই না!
বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে দেশে ফেরার পর সাংবাদিকদের বোল্ট জানিয়েছেন, সুপার ওভারের কথা আম্পায়ারই জানিয়েছিলেন তাকে, ‘বিশ্বকাপের ফাইনালে যে সুপার ওভার থাকবে, সেটা আমি আগে জানতাম না। যখন ইংল্যান্ডের দুই বলে তিন রান দরকার ছিল, তখন আম্পায়ার আমাদের জানিয়েছিল সুপার ওভারের কথা। আমরা শেষ দুই বলে ইংল্যান্ডকে তিন রান নিতে দেইনি, ম্যাচ তাই সুপার ওভারে চলে যায়। সেখানেও দুই দল ১৫ রান করেছে! এটা হজম করা আসলেই কঠিন।’
ইংল্যান্ডের রান তাড়া করার সময় বেন স্টোকসের ক্যাচ ধরার পরেই বোল্টের পা লাগে বাউন্ডারি লাইনে। সেই ক্যাচটা ধরলে কিংবা বল সামনের দিকে ঠেলে দিলেই ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। বোল্ট জানালেন, সামনের দিকে ছুড়ে মারা নয়, তিনি বলটা ধরে রাখার চিন্তাই করছিলেন, ‘প্রথম লক্ষ্য ছিল বলটাকে ধরা। তবে বাউন্ডারি লাইন যে এত কাছে ছিল সেটা বুঝতে পারিনি বোকার মতো! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একইরকম একটা ক্যাচ ধরেছিলাম। তবে ইংল্যান্ডের মাঠগুলো আসলে গোল নয়, নানা আকৃতির। যখন বল ধরার পর পা বাউন্ডারি লাইনে লাগলো, তখন আমার অনুভূতিটা বুঝতেই পারছিলেন হয়তো! গাপটিলের দিকে বল ছুড়ে দেওয়ার সময়টা পাইনি।’
ফাইনালের হারের কষ্টটা সহজে ভুলতে পারবেন না বোল্ট, ‘বহু মানুষ মাঠে, টিভির সামনে বসে ম্যাচটা দেখেছে। ওই মুহূর্তগুলো অবিশ্বাস্য ছিল। হয়তো ইংল্যান্ডের জায়গায় আমরাও জিততে পারতাম। ভবিষ্যতে কেউ হয়ত শিরোপা জেতার এতো কাছে যেতে পারবে না। শুধু নিউজিল্যান্ডের সমর্থক নয়, অন্য অনেক দর্শকই চেয়েছিলেন আমরা যেন জিতি। সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে না পেরে হতাশ আমরা। ১৫ ঘণ্টা ক্রিকেট খেলার পর এভাবে হারাটা মানতে পারা যায় না।’