• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    ফাইনালের ফলটা 'ন্যায্য' মনে হচ্ছে না মরগানের

    ফাইনালের ফলটা 'ন্যায্য' মনে হচ্ছে না মরগানের    

    বেন স্টোকসের ইনিংস? নাকি জস বাটলারেরটি? লিয়াম প্লাঙ্কেটের মাঝের ওভারের বোলিং? নাকি জফরা আর্চারের ডেথ ওভারের বোলিং? স্টোকসের কোন ছয়টা- বোল্ট যেটি ধরে বাউন্ডারি কুশনে পা রাখলেন, নাকি শেষ ওভারে বোল্টের বলে স্লগ করে যেটি মারলেন? নাকি গাপটিলের থ্রোটা তার ব্যাটে লেগে যেটা হলো, সেটা? এরপর আর্চারের সুপার ওভারের কোন ডেলিভারিটা? এক সপ্তাহ পরও লর্ডসের ফাইনালের হিসাব মেলানো মুশকিল, ঠিক কোন মুহুর্তটা গড়ে দিল ম্যাচের ভাগ্য। সে হিসাব মেলাতে পারছেন না ইংল্যান্ড অধিনায়ক অইন মরগানও। 

    ম্যাচ টাই হওয়ার পর ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ফাইনাল গিয়েছিল সুপার ওভারে, সেখানেও হয়েছিল টাই। এরপর ম্যাচে বাউন্ডারি সংখ্যায় জিতে গেছে ইংল্যান্ড, হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। ১০০ ওভার দুই দলকে আলাদা করতে পারেনি, বাড়তি ২ ওভারও না। মরগান বলছেন, ম্যাচের ফলটাকে ঠিক ন্যায্য মনে হচ্ছে না তার কাছে। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে কথা হয়েছে তার, তবে দুজন মিলেও কূল-কিনারা করতে পারেননি কোনও। 

    “আমার মনে হয় না, দুই দলের মাঝে যখন এতো সূক্ষ্ণ পার্থক্য, তখন এই ফলটা ন্যায্য”, দ্য টাইমসকে বলেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। “মনে হয় না এমন একটা মুহুর্ত আছে, যেটাকে ইঙ্গিত করে আপনি বলতে পারবেন- ঠিক এখানেই ম্যাচটার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে।” 

     


    “আমি সাধারণত স্পষ্ট থাকি। সাধারণত বলি, ‘আমি জানি, আমি সেখানে ছিলাম, এটা হয়েছে’। তবে এই ম্যাচে আমি নির্দিষ্ট করে কোনও কিছুর দিকে আঙুল তাক করতে পারছি না, কোন মুহুর্তে কেউ জিতল, কেউ হারলো।” 

    “গত কয়েকদিনে আমি কেনের (উইলিয়ামসনের) সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। দুজনের কেউই যুক্তিসঙ্গত কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারিনি। বেশ কয়েকবার আমরা তাদের হাতে ম্যাচটা তুলে দিয়েছিলাম, তারা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিল। আমার মতোই সেও ব্যাপারটা বুঝতে পারছে না।” 

    অথচ ইংল্যান্ড জিতেছে বলে এসব নিয়ে মরগান চিন্তা করছেন না বলেই মনে হতে পারে। তিনি অবশ্য দ্বিমত পোষণ করছেন এটার সঙ্গেও, “আমার মনে হয় না, জিতলেই ব্যাপারটা সহজ হয়ে যায়। আমারও গড়বড় হয়ে যাচ্ছে। কারণ এমন কোনও মুহুর্ত নেই, যেটা দেখে বলা যায়- ‘হ্যাঁ, এটার কারণেই আমাদের এটা প্রাপ্য। এটা স্রেফ ক্ষ্যাপাটে একটা ব্যাপার ছিল।” 

    অবশ্য হারলে ব্যাপারটা আরও কঠিন হতো বলে মনে করছেন তিনি। 

    আপাতত ইংল্যান্ড ব্যস্ত হয়ে পড়ছে টেস্ট নিয়ে। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে একমাত্র টেস্ট শুরু হবে ২৪ জুলাই, লর্ডসে। এরপর ১ আগস্ট থেকে শুরু হবে অ্যাশেজ। মরগান আপাতত রোমাঞ্চিত ডাবলিনে ফিরতে পেরে। আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসের মিলিত টি-টোয়েন্টি লিগ ইউরো টি-টোয়েন্টি স্ল্যামে ডাবলিনের হয়ে খেলবেন তিনি। 

    সীমিত ওভারে ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন কিনা, অথবা কতোদিন চালিয়ে যাবেন- সে ব্যাপারে এখনও কিছু নিশ্চিত করেননি তিনি। ফাইনালই যখন মাথা থেকে সরছে না, তখন এসব ব্যাপারে চিন্তাই বা করবেন কীভাবে!