রাশিদ-মঈনের 'শ্যাম্পেন উদযাপন' না করায় আপত্তি নেই মরগানদের
বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অইন মরগান। তাকে ঘিরে উল্লাস করছেন দলের সবাই। জয়ের উল্লাস শুরুর কিছুক্ষণের মাঝে শ্যাম্পেনের বোতল খুলে একে অন্যের গায়ে সেটা ঢেলে দিতে লাগলেন স্টোকস-বাটলাররা। একটু খেয়াল করলেই দেখা যেত, সেই শ্যাম্পেন উদযাপনে নেই আদিল রাশিদ ও মঈন আলি। ডেইলি সানকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাশিদ ও মঈন জানিয়েছেন, ধর্মীয় কারণেই এরকম উদযাপন থেকে নিজেদের দূরে রাখেন তারা। আর এতে কোনো আপত্তিও নেই সতীর্থদের।
ইংল্যান্ড যতবার সিরিজ জয়ের পর শ্যাম্পেন নিয়ে উদযাপন করেছে, কখনোই সেটায় অংশ নেননি রাশিদ-মঈন। ইসলামে মদ্যপান হারাম বলেই এমনটা করেন তারা। অনেকেরই প্রশ্ন, দলের সাথে উদযাপন না করায় কি অন্যরা মনঃক্ষুণ্ণ হন না? রাশিদ জানালেন, ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমে সবাই সবার ধর্মীয় রীতিকে সম্মান করে, ‘ইংল্যান্ড দলে অনেক সংস্কৃতির ক্রিকেটার আছে। কিন্তু আমরা একটা দল হয়ে খেলি। সবাই সবার সংস্কৃতিতে সম্মান করে, বিশেষ করে আমার ও মঈনের মুসলিম হওয়াকে। তারা এটা ঠিক করে নিয়েছে যে সবাই আগে ট্রফিসহ গ্রুপ ছবি তুলবো। এরপর আমরা সরে দাঁড়ালে তারা শ্যাম্পেনের বোতল খুলবে। এটা দলের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’
সতীর্থদের এমন সহযোগিতা পেয়ে দারুণ খুশি রাশিদ, ‘আমি আর মঈন সবসময় তাকিয়ে থাকি কখন শ্যাম্পেনের বোতল আসবে। আমরা শুধু সরে দাঁড়াই উদযাপন শুরুর আগে। দলের সবাই সবাইকে সম্মান করে, ব্যাপারটা দারুণ। তারা আমাদের ধর্মীয় নিয়মটা জানে, সেটাকে সম্মান করে আলাদা উদযাপন করে। এটাই ইংল্যান্ডের ক্রিকেট।’
মঈনও সতীর্থদের এমন ব্যবহারে উচ্ছ্বসিত, ‘ইংল্যান্ড দলের সৌন্দর্য হলো এখানে সবাই সবার ধর্ম ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করে। আমাদের জন্য তাঁরা অনেক ব্যাপারে ছাড়ও দিয়েছে। আমরা মিলেমিশেই ড্রেসিংরুমে থাকি।’
আইরিশ, পাকিস্তানি, ক্যারিবিয়ান ও কিউই বংশভূতদের নিয়ে বিশ্বকাপ জয় ইংল্যান্ডকে আরও একতাবদ্ধ করবে বলেই বিশ্বাস রাশিদের, ‘দেশের একটা বিশ্বকাপ দরকার ছিল। এখানে অনেক দেশের অনেক সংস্কৃতির ক্রিকেটার আছে। আমরা সবাই ইংল্যান্ডের পতাকার নিচে এসে খেলছি। এটা আমাদের দারুণ একটা পর্যায়ে পৌঁছে দেবে।’