প্রাক মৌসুমের প্রস্তুতি সারতে পাহাড়ে ক্যাম্পিং!
ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলো শুরু হতে খুব বেশিদিন বাকি নেই। ক্লাবগুলো নিজেদের প্রাক মৌসুম অনুশীলনে সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন দেশে। জার্মান ক্লাব অসবার্গ অবশ্য প্রাক মৌসুমটা কাটাচ্ছেন একটু ভিন্নভাবেই। কোন অনুশীলন গ্রাউন্ড কিংবা প্রীতি টুর্নামেন্ট খেলে নয়, সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ের চূড়াতেই অসবার্গের ফুটবলাররা বিশেষ অনুশীলন করে নতুন মৌসুমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
অন্য কোচরা যেখানে ফুটবলারদের নিয়ে মাঠের অনুশীলনে ব্যস্ত, অসবার্গ কোচ মার্টিন স্কিমিড তখন দলের সবাইকে নিয়ে চলে গেছে সুইস আল্পসে। ফুটবলারদের মনঃসংযোগ যেন বেড়ে যায়, শারীরিক ও মানসিকভাবে যেন আরও চাঙ্গা হয়ে ওঠেন সবাই, এই লক্ষ্যেই বিশেষ ক্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করেছে জার্মান ক্লাবটি।
প্রায় সপ্তাহখানের মতো সবাইকে থাকতে হবে পাহাড়ের চূড়ায় করা বেস ক্যাম্পে। সেখানে মাটিতে পাতা বিছানাতে ঘুমাতে হবে ফুটবলারদের। টয়লেট কিংবা গোসলের জন্য নেই রুমের সাথে বাথরুমও। এবস কাজ সারতে চাইলে বেস ক্যাম্প থেকে বের হয়ে কিছুটা দূরে হেটে যেতে হবে তাদের।
প্রতিদিন সকালে ভোর ৫.৩০ টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে সবাইকে। এরপর ভোরের আলো ফুটলে সকাল ছয়টায় পাহাড়ের কয়েক মাইল ওপরে উঠতে হবে। ক্যাম্পিংয়ের এই কয়দিন কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
অসবার্গ কোচ স্কিমিডের বিশ্বাস, কঠোর এই ক্যাম্পিং পরের মৌসুমে সবাইকে আরও চাঙ্গা করে তুলবে। তাঁর মতে, ম্যাচের কঠিন পরিস্থিতির সাথে কীভাবে খাপ খাইতে নিতে হয়, সেটার একটা ভালো শিক্ষাই হবে এই ক্যাম্পিং, ‘প্রথমে ফুটবলাররা ভেবেছিল এই ক্যাম্পিংটা খুব একটা কঠিন হবে না। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই সবাই বুঝতে পেরেছে ব্যাপারটা কত কঠিন। দুই ঘণ্টা পাহাড় চড়াইয়ের পর আমরা বিরতি নিয়েছিলাম। তখন সবাই রীতিমত ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। মনে হচ্ছিল আমরা লিগের ম্যাচে ২-০ গোলে পিছিয়ে আছি! কিন্তু দলের নেতারা সবাইকে উজ্জীবিত করেছে, সবাই আবার উঠে দাঁড়িয়েছে।’
পাহাড়ের ওপর এই ক্যাম্পিং কি সত্যিই কাজে দেবে অসবার্গের? সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী মৌসুম পর্যন্ত।