রোনালদোকে না খেলিয়ে কে-লিগের তোপের মুখে জুভেন্টাস
দক্ষিণ কোরিয়ার ঘরোয়া কে লিগ বলছে, তারা মনে করে জুভেন্টাস তাদের সঙ্গে 'অনুচিত' কাজ করেছে, এবং একই সঙ্গে জানিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাবের এমন ব্যবহারে তারা হতাশ। কে লিগ অল স্টারের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ ছিল জুভেন্টাসের গত সপ্তাহে, কে লিগের দাবি সেই ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে অন্তত ৪৫ মিনিট মাঠে নামানোর কথা ছিল জুভেন্টাসের। কিন্তু ওই ম্যাচে রোনালদোকে মাঠেই নামায়নি জুভেন্টাস। ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে তাই কে লিগের পভিযোগ চুক্তিভঙ্গের।
দক্ষিণ কোরিয়ার ওই ম্যাচের দুইদিন আগেই চীনে আরেকটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন রোনালদো। জুভেন্টাস বলছে মাসল ফ্যাটিগের কারণে সে ম্যাচে আর রোনালদোকে মাঠে নামানো যায়নি। বৃহস্পতিবার জুভেন্টাসের বক্তব্যকে 'অসত্য' এবং 'ছল চাতুরির অংশ' বলে বিবৃতি দিয়েছে কে লিগ কর্তৃপক্ষ।
"কে লিগ স্পষ্ট করে বলতে চায় জুভেন্টাসের কান্ডজ্ঞানহীন ও অবিবচেকের মতো কাজ আমাদের হতাশা ও বিরক্তির উদ্রেক করেছে। আমরা আশা করব, জুভেন্টাস তাদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইবে এবং রোনালদো কেন খেলেননি সেটার কারণ ব্যখ্যা করবে।"
"এখানে আসল কথা হলো রোনালদো এক মিনিটের জন্যও মাঠে নামেনি। অথচ তার নামার কথা ছিল ৪৫ মিনিটের জন্য। এটা চুক্তির পুরোপুরি উলটোটা। কিন্তু এরপরও জুভেন্টাস ক্ষমা চায়নি, এমনকি কেন এমনটা হলো সেটাও ব্যখ্যা করার দরকার মনে করেনি।"
জুভেন্টাস দাবি করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া এয়ারপোর্টে সময়ক্ষেপণ ও সিউলের ট্রাফিক জ্যামে তাদের বাড়টি ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। সেই দাবিও নাকচ করে দিয়েছে কে লিগ, "জুভেন্টাস বলছে ১ ঘন্টা ৫০ মিনিটের মতো লেগেছে তাদের এয়ারপোর্ট ছাড়তে। যেটা একটা মিথ্যা দাবি। তাদের পুরো ৭৬ সদস্যের দলের এয়ারপোর্ট ছাড়তে সময় লেগেছে ২৬ মিনিট। এটা কোরিয়া ইমিগ্রেশন সার্ভিসও আমাদের নিশ্চিত করেছে পরে।"
"এটা তাই নিশ্চিত করেই বলা যায় জুভেন্টাস দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রাপ্য মূল্য দেয়নি। সে কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের এমন অসম্মান করা এসবের ফল। আর এর সঙ্গে রোনালদোকে না নামানো তো আছেই।"
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সমর্থকেরাও কে লিগের কাছে টিকেটের টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ফেরত চেয়েছে। এরপর ঘটনা গড়িয়েছে আরও বহুদূর।