• ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান
  • " />

     

    এমবাপ্পে-ডি মারিয়ায় পিএসজির রেকর্ড সুপার কাপ শিরোপা

    এমবাপ্পে-ডি মারিয়ায় পিএসজির রেকর্ড সুপার কাপ শিরোপা    

    রেনের কাছে হেরেই গত মৌসুমের শেষভাগে ফ্রেঞ্চ কাপের শিরোপা খোয়াতে হয়েছিল পিএসজিকে। গতকাল ফ্রেঞ্চ সুপার কাপের ফাইনালেও পিছিয়ে পড়েছিলেন ডি মারিয়া-এমবাপ্পেরা। শেষ পর্যন্ত পিএসজিকে উদ্ধার করেছেন এই দুইজনই। এমবাপ্পে-ডি মারিয়ার গোলে রেনেকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে টানা সপ্তমবারের মতো সুপার কাপ জিতল থমাস টুখেলের দল। 

    ১২ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো পিএসজিই। থিলো কেহরারের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পরের মিনিটেই পিএসজিকে চমকে দিয়ে রেনেকে এগিয়ে দেন আদ্রিয়েন হুনো। বেঞ্জামিনের ক্রসে হুনোর বাঁ পায়ের বাঁকানো শট ঠেকাতে পারেননি আলফোনসে আরেওলা। ১৮ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনার সুযোগ নষ্ট করেন অ্যান্ডার হেরেরা। তাঁর ডান পায়ের শট টমাস কুবেককে পরাস্ত করতে পারেনি। প্রথমার্ধে আর গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলই। 

    পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামা পিএসজি শুরু থেকেই ম্যাচে ফিরতে ছিল মরিয়া। ফলটাও আসে দ্রুত। ৫৭ মিনিটে এমবাপ্পের গোলে সমতা ফেরে ম্যাচে। এমবাপ্পের গোল আসে পাবলো সারাবিয়ার পাসে। চার মিনিট পর পিএসজিকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ এসেছিল এমবাপ্পের সামনে। তাঁর শট দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন রেনে কিপার। ৬৮ মিনিটে ডি মারিয়াকেও হতাশ করেন তিনি। 

    ৭২ মিনিটে বক্সের একটু বাইরে ফ্রি কিক পায় পিএসজি। সেই ফ্রি কিক থেকে বা পায়ের বাঁকানো শটে কুবেককে বোকা বানান ডি মারিয়া। চোখ ধাঁধানো এই গোলের পর জার্সি খুলে উদযাপনের জন্য অবশ্য হলুদ কার্ডও দেখতে হয়েছে তাঁকে। শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মিনিট আগে ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারতো রেনে, পোস্ট ছেড়ে আক্রমণে উঠে আসা কিপার কুবেকের হেড পোস্টের ওপর দিয়ে চলে গেলে সেটা আর হয়নি। 

    এই জয়ে নবম সুপার কাপের শিরোপা জিতল পিএসজি। তাঁরা পেছনে ফেলেছে আটবার এই শিরোপা জেতা লিঁওকে। পিএসজি ভেঙেছে লিঁওর আরেকটি রেকর্ড। ২০০২ থেকে ২০০৭ সালের মাঝে টানা ছয়বার সুপার কাপ জিতেছিল লিঁও। পিএসজি এবার টানা সপ্তমবারের মতো সুপার কাপ ঘরে তুলল।