চক্রপূরণের পর নতুন করে শুরু হচ্ছে বিপিএল
বিপিএল শুরুর তারিখ জানা, ৬ ডিসেম্বর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তারিখও জানা, ৩ ডিসেম্বর। কিন্তু সেই আসরে কারা কারা অংশ নেবে বা আদৌ কয়টা দল খেলবে সেটা জানা নেই। আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে এই মুহূর্তে বিপিএলের কোনো নিবন্ধিত ও বৈধ ফ্র্যাঞ্চাইজি নেই। ষষ্ঠ আসর শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিপিএলের একটি চক্র শেষ হয়েছে। সপ্তম আসর শুরুর আগে নতুন করে তাই নিবন্ধন করতে হবে সব ফ্র্যাঞ্চাইজিকে, সর্বোচ্চ আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলতে পারবে এবার।
আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনটা একরকম আলোচনা পর্বই হলো। বিপিএলের নীতি নিয়ে বেশ কিছু ধোঁয়াশা ছিল, সময় নিয়ে সেটাই পরিষ্কার করলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও বোর্ড পরিচালক মাহবুব আনাম। সেকাহ্নেই স্পষ্ট করলেন, প্রথম আসর থেকে ষষ্ঠ আসর পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল কাউন্সিল। এর মধ্যে অনেকবার ফ্র্যাঞ্চাইজি পরিবর্তন হয়েছে, সর্বশেষ যেমন দুই আসর আগে নাম লিখিয়েছে সিলেট সিক্সারস। কিন্তু গত আসরের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে সব চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। যার মানে খেলোয়াড় ধরে রাখা থেকে বিদেশী কয়জন খেলবে বা নিলামে কেমন হবে, সেটা নিয়ে নতুন করে নিয়ম হবে। যার মানে, কার্যত এবার আগের কাউকেই ধরে রাখতে পারছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। সবাইকে নতুন করেই গোছাতে হবে দল।
এর মধ্যেই অবশ্য বিপিএল থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছে চিটাগং ভাইকিংসের বর্তমান ফ্র্যাঞ্চাইজি। শোনা যাচ্ছে সিলেট সিক্সারসের বর্তমান মালিকও আর দল চালাতে আগ্রহী নন। এর মধ্যে নতুন দুইটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা চেয়ে বিজ্ঞাপ্পন দিয়েছে বিসিবি। যার মানে চিটাগং না থাকলে আরেকটি দল পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ আছে তাদের। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও বলা হয়েছে। সর্বোচ্চ আটটি দল নিয়ে হতে পারে এবারের বিপিএল। আগে অবশ্য কখনো তা হয়নি, এমনকি ছয়টি দল নিয়েও হয়েছে। সেই সম্ভাবনা যে এবারও নেই, তা নয়।
এও জানানো হয়েছে, এবারের চুক্তির মেয়াদ চার বছরের চক্রের। যার মানে এবার যারা নাম লেখাবে, চার বছরের মধ্যে নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে না তাদের।
তবে এতসব নিয়মও বদলে যায় কি না কে জানে। বিপিএলে যে শেষ কথা বলে কিছু নেই!