ধারে বায়ার্নে গেলেন কৌতিনিয়ো
সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। শুধু বাকি ছিল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। সেটিও এসে গেছে আজ। এক বছরের জন্য ধারে বার্সেলোনা থেকে বায়ার্ন মিউনিখে নাম লিখিয়েছেন কৌতিনিয়ো। সেজন্য আপাত্ত বায়ার্নকে খরচ করতে হচ্ছে শুধু ৭.৭৮ মিলিয়ন পাউন্ড। তবে এক বছরের পাকাপাকিভাবে নেওয়ার সুযোগ থাকবে বায়ার্নের, তখন তাদের দিতে হবে ১০৯.৮ মিলিয়ন পাউন্ড।
২০১৮ সালের শীতকালীন দলবদলে লিভারপুল থেকে আনুমানিক ১৪৬ মিলিয়ন পাউন্ডে বার্সেলোনায় পাড়ি জমিয়েছিলেন কৌতিনিয়ো। নেইমার বার্সা ছাড়ার পর থেকেই তাকে দলে আনতে চেয়েছিল বার্সা। প্রথম দফায় না পারলেও ছয় মাস পর সফল হয় তারা। তবে দুই পক্ষের সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ত হয়ে যায়। সমর্থকেরা বেশ কয়েকবার দুয়ো দিয়েছেন কৌতিনিয়োকে। দেড় বছরে সেভাবে দলে নিয়মিত হতে পারেননি কৌতিনিয়োও।
প্রথম ছয় মাস অবশ্য প্রত্যাশামতোই খেলেছিলেন তিনি। এরপর নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে রঙ হারাতে থাকেন। এরপর একসময় একাদশেও জায়গা হারান। বার্সায় জীবন সুখের না গেলেও গ্রীষ্মেই ব্রাজিলের হয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছেন। নেইমার বিহীন দলে তার অবদানও ছিল বড়।
জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন নতুন করে দল গোছানো শুরু করেছে এবার থেকে। এর আগে ম্যানচেস্টার সিটির লিরয় সানের ব্যাপারে তাদের আগ্রহের কথা শোনা গিয়েছিল। তবে ইনজুরিতে পড়ে সাত মাসের জন্য সানে মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়া সম্ভবত সেই চুক্তি এখন আর হচ্ছে না। বার্সাও গ্রিযমানকে দলে আনার পর থেকে বেশ অনেকদিন ধরেই কৌতিনিয়োকে দলছাড়া করতে চাইছিল বলে খবর ছিল বহুদিন।
বায়ার্নে যোগ দেওয়ার পর কৌতিনিয়ো বলেছেন, নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য তিনি মুখিয়ে আছেন। এর মধ্যেই ইন্টার মিলান, লিভারপুল, বার্সেলোনা মিলে ইউরোপের শীর্ষ তিন লিগে খেলে ফেলেছেন। এবার সামনে বুন্দেসলিগায় নিজেকে মেলে ধরার চ্যালেঞ্জ। ক্লাবে যোগ দিয়ে দশ নম্বর জার্সিটাও পেয়ে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান এই মিড