বায়ার্নের জয়ের রাতে হোঁচট খেলো ডর্টমুন্ড
লিগের প্রথম ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখকে রুখে দিয়েছিল হার্থা বার্লিন। পরের ম্যাচেই শালকেকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে জয়ের ধারায় ফেরেন বাভারিয়ানরা। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে কাল বায়ার্ন জিতল আরও বড় ব্যবধানে। পিছিয়ে পড়েও মেইঞ্জকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বায়ার্ন। তবে বায়ার্ন জিতলেও লিগের তৃতীয় ম্যাচেই মৌসুমের প্রথম হারের স্বাদ পেল শিরোপার অন্যতম দাবিদার বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ইউনিয়ন বার্লিনের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে ডর্টমুন্ড।
মাত্র ছয় মিনিটের মাথায়ই বায়ার্ন চমকে দিয়ে লিড নেয় মেইঞ্জ। হুয়ান পল বয়েটিয়াসের হেড সহজেই পরাস্ত করে ম্যানুয়েল নয়্যারকে। ৩২ মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতেন করিম অনিসিও, তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন বায়ার্ন কিপার। চার মিনিট পর বেঞ্জামিন পাভার গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় বায়ার্ন। ইভান পেরিসিচের ক্রসে বক্সের ভেতর বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি পাভা।
সেই শুরু। এরপর মেইঞ্জকে আর ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ দেয়নি বায়ার্ন, তাদের জালে জড়িয়েছে আরও পাঁচ গোল। প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে দারুণ এক ফ্রি কিক থেকে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন ড্যানি আলাবা। ৫৪ মিনিটে বায়ার্নের তৃতীয় গোল আসে পেরিসিচের হেড থেকে। ৬৪ মিনিটে লিড আরও বাড়ান কিংসলে কোমান।
৭৮ মিনিটে গোলের দেখা পান রবার্ট লেভানডফস্কি। থমাস মুলারের ক্রসে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে মেইঞ্জ কিপারকে বোকা বানান। দুই মিনিট পর মেইঞ্জের জালে ষষ্ঠবারের মতো বল জড়ায় বায়ার্ন, এবার গোল আসে আলফোন্সো ডেভিসের পা থেকে। শেষ বাঁশি বাজার আগে জসুয়া কিমিচের শট মেইঞ্জ কিপার মুলার ঠেকিয়ে না দিলে সপ্তম গোল পেতে পারতো বায়ার্ন। এই জয়ে তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো বায়ার্ন।
বায়ার্ন জিতলেও কাল নিজেদের ম্যাচে হেরে গেছে ডর্টমুন্ড। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ডর্টমুন্ডকে হারিয়েছে ইউনিয়ন বার্লিন। ২২ মিনিটে বার্লিনকে এগিয়ে দেন মারিউস বালটার। তিন মিনিটের মাঝেই অবশ্য সমতা ফেরান ডর্টমুন্ডের পাকো আলকাসের।
৫০ মিনিটে বালটারের গোলে আবার এগিয়ে যায় বার্লিন। ৭৫ মিনিটে ডর্টমুন্ডের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়ে বার্লিনকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন সেবাস্টিয়ান অ্যান্ডারসন। এই হারে তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে প্রথম দুই ম্যাচ জেতা ডর্টমুন্ড।