• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    মরিনহো ওল্ড ট্রাফোর্ডেই আসতে চাচ্ছেন!

    মরিনহো ওল্ড ট্রাফোর্ডেই আসতে চাচ্ছেন!    

    আপাতত গাস হিডিঙ্ক চেলসির হাল ধরছেন, সেটা একরকম ঠিক হয়ে আছে। কিন্তু হোসে মরিনহোর নতুন ঠিকানা কী হবে ? ইংল্যান্ডেই থাকবেন, নাকি অন্য কোথাও পাড়ি জমাবেন? শোনা যাচ্ছে, মরিনহো নিজেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আসতে উৎসাহী।

     

    এই মুহূর্তে মরিনহোর সামনে সব জানালা একটা একটা করে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পর্তুগালে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এরপর ইংল্যান্ড, ইতালি, স্পেন ঘুরে আবার এসেছিলেন ইংল্যান্ডে। ইউরোপের শীর্ষ লিগের মধ্যে শুধু বাকি জার্মানি ও ফ্রান্স। কিন্তু সেখানে যে দুইটি ক্লাব  মরিনহোকে নিতে পারত, তারাই খুব একটা আগ্রহী নয়।

     

    পেপ গার্দিওলা এই মৌসুম শেষে বায়ার্ন মিউনিখ ছাড়বেন, সেটাও মোটামুটি ঠিক হয়ে আছে। কিন্তু সেখানেও সম্ভবত মরিনহোর জায়গা হচ্ছে না। শোনা যাচ্ছে, বায়ার্ন আপাতত কার্লো আনচেলত্তিকে নিতেই বেশী আগ্রহী। এর মধ্যেই দুই পক্ষের কথাবার্তাও নাকি অনেকদূর এগিয়ে গেছে।

     

    সেক্ষেত্রে পিএসজি হতে পারত আরেকটি সম্ভাব্য গন্তব্য। কিন্তু সেখানেও নিরাশ হতে হচ্ছে। কালই পিএসজি এখনকার কোচ লরা ব্লাঁর সাথে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি করেছে। তার মানে, তাঁরা আপাতত এই ফরাসী কোচের ওপরেই ভরসা রাখছে। ব্লাঁ আবার মরিনহোর কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়ে বলেছেন,মরিনহোকে ছাড়া চেলসি আরও বেশী ভালো করবে। ফ্রান্সের সাবেক খেলোয়াড় অলিভিয়ের দাকুরও বলেছেন, মরিনহো পিএজসিতে আসলে সেটা ক্লাবের জন্য ভালো কিছু হবে না।

     

    তাহলে কি গন্তব্য ইংল্যান্ডেরই কোনো ক্লাব ? ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে লুইস ফন গাল এখন বেশ চাপে আছেন।  ইউনাইটেড এর মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়েছে, ফন গালের খেলার ধরনও দারুণ সমালোচিত হচ্ছে। ফন গাল নিজেই স্বীকার করেছেন, সামনের কয়েকটা ম্যাচে ফল পক্ষে না আসলে তাঁর ভাগ্যেও মরিনহোর মতো কিছু হতে পারে।

     

    মরিনহো নিজেই এখন ওল্ড ট্রাফোর্ডে আসার ব্যাপারে উৎসাহী। এর মধ্যেই ইউনাইটেডের শীর্ষ কর্তাদের সাথে যোগাযোগও শুরু করেছেন বলে দাবী করেছে ইএসপিএন। ইউনাইটেডের প্রধান নির্বাহী এড উডওয়ার্ডের সাথেও মরিনহর এজেন্ট হোর্হে মেন্ডেসের ভালো সম্পর্ক। ফন গাল বিদায় নিলে সেখানে তাঁকে দেখা যেতেই পারে।

     

    কিন্তু ওল্ড ট্রাফোর্ডে মরিনহোকে কি সাদরে বরণ করে নেওয়া হবে ? এর আগে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অবসরের পর মরিনহো নিজেই ইউনাইটেডের কোচ হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তখন কয়েকজন পরিচালক পক্ষে থাকলেও অনেকে আপত্তি করেছিলেন। স্যার ববি চার্লটনও সরাসরি বলেছিলেন, মরিনহোর ভাবমূর্তি ইউনাইটেডের সাথে যায় না। এখন তো সেই বিরোধিতা আরও জোরালোই হওয়ার কথা।