যে কারণে 'ছোট' অনুশীলন ক্যাম্প বাংলাদেশের
জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প কেন আরও দীর্ঘায়িত হয় না- সে প্রশ্ন প্রায়ই শুনতে হয় বাংলাদেশ কোচ, বাফুফে কর্তাদের। যদিও বিশ্বের প্রায় সব জাতীয় দলের ফুটবলাররাও অনুশীলন করেন বছরে হাতে গোণা কয়েকদিন। ঘরোয়া লিগ, কাপ টুর্নামেন্টে বছরের বেশিরভাগ সময় ক্লাবের হয়ে ফুটবলাররা ব্যস্ত থাকায় সেটা খুব বেশি অবাক করা ব্যাপারও নয়। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ে অক্টোবরে বাংলাদেশের দুইটি ম্যাচ। সে ম্যাচের আগে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বাংলাদেশের অনুশীলন ক্যাম্প। বাংলাদেশ কোচ বলছেন, বড় ক্যাম্প নেতিবাচক প্রভাবও ফেলতে পারে দলের ওপর।
আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ শেষে আবারও নিজ দেশ ইংল্যান্ড ফিরছেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। প্রায় দুই মাস ছুটি কাটিয়ে গত মাসে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে আবারও দেড় সপ্তাহের ছুটি কাটাতে ফিরছেন ইংল্যান্ডে। মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে যথেষ্ট বিশ্রামও দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ কোচ। তাই সময়টা যথেষ্টই মনে করছেন তিনি, "আপনি যদি অন্য দেশের দিকে খেয়াল করেন, দেখবেন তারা আন্তর্জাতিক বিরতি হলেই জাতীয় দলে অনুশীলনে ফেরে। আমরা যদি ২০, ৩০ দিন ক্যাম্প দীর্ঘায়িত করি সেটা খেলোয়াড়দের ওপর মানসিক ও শারীরিক দিক দিয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।"
"এক মাস ধরে হোটেলে থাকলে খেলোয়াড়, অ্যাসিস্ট্যানন্টদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যদি খেলোয়াড়েরা ওজন বাড়িয়ে, ফিটনেস হারিয়ে ক্যাম্পে ফিরত তাহলে হয়ত সময় বাড়ানো যেত। তবে আমি আসার পর থেকে খেলোয়াড়েরা এমন কিছু করেনি। তাই তাদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে।"
"অনুশীলন না থাকলে ক্যাম্প থাকবে না। এখানে এখন কোনো খেলাও নেই যে আমার সেটা দেখতে হবে। হোটেলে আমি ২৪ ঘন্টা বসে থাকতে পারি। কিন্তু আমাকে রাখতে, খাওয়াতে বাফুফেরও খরচ বাড়ে তাতে। এখানে থেকেও আসলে লাভ নেই। যেমনটা বলছিলাম, খেলোয়াড় স্টাফদের নতুন একটা শুরুর জন্য যথেষ্ট বিশ্রামও দরকার। আমারও পরিবারকে সময় দিতে হবে।"
১০ অক্টোবর ঘরের মাঠে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কাতার। এর পাঁচদিন পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ করে পরদিনই ভারত রওয়ানা হবে জাতীয় দল।
এই দুইটি ম্যাচ সামনে রেখে বাংলাদেশ কোচ দুইটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে চাইছেন ঘরের মাঠে। এর ভেতর একটি অন্তত আন্তজার্তিক ম্যাচ খেলতে চান ডে। কোন দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলবে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে নিজের পছন্দের কথা বাফুফেকে জানিয়েছেন কোচ। নেপাল, ভুটান, লাওস, ম্যাকাও, গুয়াম, শ্রীলঙ্কার ভেতর যে কোনো একটি দলের বিপক্ষে খেলতে চাইছেন ডে। আর আরেকটি ম্যাচ হতে পারে বসুন্ধরা কিংস, চট্টগ্রাম আবাহনী বা সাইফ স্পোর্টিংয়ের যে কোনো একটি দলের বিপক্ষে।
বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর দিন, তারিখ অবশ্য এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে ২৯ সেপ্টেম্বর ও ৩ অক্টোবর ম্যাচ দুইটি হতে পারে বলে ইঙ্গিত করেছেন বাংলাদেশ কোচ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৩ জনের স্কোয়াড থেকেও পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম। তবে নতুন অনুশীলন ক্যাম্পে আরও দুই, তিনজন খেলোয়াড় অনুশীলনের সুযোগ পাবেন। এরপরই চূড়ান্ত দল বাছাই করবেন বাংলাদেশ কোচ।