ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দর্শকসংখ্যা ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড
ইতিহাস গড়েই প্রথমবারের মতো নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। মাঠের বাইরেও ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপটি ভেঙেছে অতীতের সব রেকর্ড। আইসিসি জানিয়েছে, এবার প্রায় ১৬০ কোটির মতো দর্শক সরাসরি দেখেছে বিশ্বকাপের ম্যাচ, যা ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
২০১৫ বিশ্বকাপে বিশ্বজুড়ে সরাসরি বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখেছিল প্রায় ৭০ কোটি দর্শক। এবার সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশের মতো। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টজুড়ে প্রায় ১৬০ কোটির মতো দর্শক সরাসরি ম্যাচ দেখেছেন। চার বছর আগের বিশ্বকাপের তুলনায় এবার ইউনিক ভিউয়ার বেড়েছে ৪২ শতাংশের মতো।
বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখার ক্ষেত্রে নারী দর্শকের সংখ্যাও এবার বেড়েছে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এবার মোট দর্শকের ৪১ শতাংশই নারী,গতবার এটি ছিল ৩২ শতাংশ। এবারের টুর্নামেন্টে অন্য যেকোনো আসরের চেয়ে বেশি সময় ধরে ম্যাচ দেখেছেন দর্শকরা। মোট ১৩৭০ কোটি ঘণ্টা ধরে দেখা হয়েছে বিশ্বকাপের ম্যাচ! আইসিসির যেকোনো ইভেন্টে এটি রেকর্ড। ২০১১ সালের চেয়ে এটি বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ, ২০১৫ সালের চেয়ে বেড়েছে ৭২ শতাংশ।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি দেখা হয়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি। এই ম্যাচে ইউনিক ভিউয়ার ছিল প্রায় ২৭ কোটি ২ লাখ। ২০০টি দেশে প্রায় ২৫টি চ্যানেল দেখিয়েছে বিশ্বকাপের খেলা। স্বাগতিক ইংল্যান্ডে প্রায় ২.৪ কোটি ইউনিক ভিউয়ার ছিল বিশ্বকাপজুড়ে। বিশ্বকাপের ফাইনালটা দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দেখা ক্রিকেট ম্যাচ।
সবচেয়ে বেশি দর্শকসংখ্যা অনুমেয়ভাবেই ছিল ভারতে। সেখানে হটস্টার অ্যাপে বিশ্বকাপের খেলা দেখেছেন রেকর্ডসংখ্যক দর্শক। ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচটি সরাসরি হটস্টারে দেখে প্রায় ২.৫ কোটি মানুষ। অস্ট্রেলিয়াতে টুর্নামেন্টজুড়ে দর্শকসংখ্যা ছিল ৬১ লাখ, সবচেয়ে বেশি দেখা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড সেমিফাইনালটি। সেই ম্যাচটি দেখেছেন ২১ লাখ ইউনিক ভিউয়ার।
২০১৫ বিশ্বকাপের তুলনায় প্রায় সব দেশেই বেড়েছে দর্শকসংখ্যা। বাংলাদেশে এটা বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, পাকিস্তানে বেড়েছে ৩৭ শতাংশ, শ্রীলংকাতে বেড়েছে ১১ শতাংশ। এই তিন দেশে ইউনিক ভিউয়ার ছিল ১০ কোটিরও বেশি।
এমন অবিশ্বাস্য সব সংখ্যায় অভিভূত আইসিসির প্রধান নির্বাহী মনু সহনি, ‘সরাসরি দেখানো ক্রিকেট ম্যাচ দর্শকসংখ্যার ওপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সেটা এই সংখ্যা দেখেই বুঝা যায়। উত্তেজনায় ভরপুর এসব ক্রিকেট ম্যাচ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি দর্শক টানছে।’