হ্যাটট্রিকে রুনিকে মনে করিয়ে দিলেন হালান্ড
এরভিং হালান্ডের নাম আপনি হয়তো শোনেননি। কাল ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে তের স্টেগেন বীরত্ব, নাপোলির কাছে লিভারপুলের হারে গল্পটা হয়তো কিছুটা চাপা পড়েছে। তবে হালান্ড যা করেছেন, সেটা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসেই করতে পেরেছেন মাত্র তিন জন। অস্ট্রিয়ান ক্লাব রেড স্টার সালজবুর্গের এই স্ট্রাইকারের বয়স মাত্র ১৯। এই বয়সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে নেমেই করেছেন হ্যাটট্রিক। টিন এজার হিসেবে চ্যাম্পিয়স লিগে অভিষেকে আগের হ্যাটট্রিকটা হয়তো আপনার মনে থাকতে পারে। ২০০৪ সালে ওয়েইন রুনি তো এভাবেই জানান দিয়েছিলেন, তিনি আসছেন।
হালান্ড কালকের আগ পর্যন্ত বিশ্বমঞ্চে নিজেকে জানান দেওয়ার মতো বেশি কিছু করতে পারেননি। বাবা আলফ হ্যাঞ্জে হালান্ড লিডস, নটিংহাম, ম্যান সিটিতে ক্যারিয়ারের বড় অংশ কাটিয়েছেন। হালান্ড নিজেও জন্মেছেন ইয়র্কশায়ারে, এরপর খেলেছেন বিভিন্ন ক্লাবে। গত মৌসুমে ওলে গানার সোলশারের অধীনে ছিলেন মোল্ডেতে। তব এই মৌসুমে আছেন দুর্দান্ত ফর্মে, ৯ ম্যাচে এর মধ্যে করে ফেলেছেন ১৭ গোল। কাল যেমন তার দল সালজবুর্গ বেলজিয়ান চ্যাম্পিয়ন গেংককে উড়িয়ে দিয়েছে ৬-২ গোলে। হালান্ড এই ম্যাচটি সহ এই মৌসুমে করে ফেলেছেন চারটি হ্যাটট্রিক! ও হ্যাঁ, হালান্ড আরও একটা কীর্তি গড়েছিলেন। গত বছর অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপে হন্ডুরাসের বিপক্ষে নরওয়ের হয়ে এক ম্যাচেই করেছিলেন ৯ গোল।
ও হ্যাঁ, কাল ডর্টমুন্ডের মতো পেনাল্টি মিসের মাশুল দিয়েছে চেলসিও। ৭৪ মিনিটে রদ্রিগোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্যহালেন্সিয়া। এরপর ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় চেলসি, বদলি হিসেবে নেমে সেটি নিতে গিয়েছিলেন রস বার্কলে। কিন্তু তার নেওয়া পেনাল্টি চলে যায় বার উঁচিয়ে। স্টাম্প ফোর্ড ব্রিজ থেকে ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফেরে ভ্যালেন্সিয়া। ইংল্যান্ডের মাঠে ২০১২ সালের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচ জিতল ভ্যালেন্সিয়া।