• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    রিজার্ভ ডে না থাকার আক্ষেপ রশিদ-মাহমুদউল্লাহরও

    রিজার্ভ ডে না থাকার আক্ষেপ রশিদ-মাহমুদউল্লাহরও    

    সারাদিনই বলতে গেলে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। অগুণিত দর্শক তাতে ভিজেছেন, ছিল স্কুল-কলেজের অনেকেও। ড্রেসিংরুম থেকে দেখে সেটা দেখে খারাপ লেগেছে বাংলাদেশ দলের, সংবাদ সম্মেলনে সেটি জানিয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। তার আগে রশিদ খানও বলে গেছেন, রিজার্ভ ডে নিয়ে ড্রেসিংরুমে আলোচনা হয়েছে আফগানদের মধ্যেও।

    ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচিতে ফাইনালে কোনো রিজার্ভ ডে ছিল না। সেপ্টেম্বরে বৃষ্টির সম্ভাবনা সব সময় থাকলেও এই টুর্নামেন্টের জন্য সেটি রাখার প্রয়োজন মনে করেনি বিসিবি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেটি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল মাহমুদউল্লাহর কাছে। তিনি অবশ্য খানিকটা সতর্কতার সাথেই বলেছেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে অবশ্যই চাই যেন রিজার্ভ ডে থাকুক, ফাইনালটা হতো। কারণ খেলা হলে সেটা আমাদের জন্য ভালো, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো। সেই হিসেবে রিজার্ভ ডে থাকলে ভালো হতো।’

    বিশেষ করে কিশোর দর্শকদের ভাবে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখে খারাপই লেগেছে মাহমুদউল্লাহর, ‘বাইরে বের হয়ে দেখছিলাম ছোট ছোট বাচ্চারা বৃষ্টিতে ভিজছে। খারাপ লেগেছে তাদের জন্য, এত কষ্ট করে খেলা দেখতে এসেছে। ম্যাচটা হলে অন্তত তাদের বৃষ্টিতে ভিজতে হতো না।’ এই দর্শকদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদউল্লাহ অবশ্য বললেন, এ নিয়ে মন্তব্য করার ঠিক লোক তিনি নন।

    ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বৃষ্টি নিয়ে হতাশা জানিয়েছেন দুই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও রশিদ খানও। তবে দুজনেই মেনেছেন, বৃষ্টির ওপর তাদের কোনো হাত নেই। রশিদ পরে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ড্রেসিং রুমেও তারা এই ব্যাপার নিয়ে কথা বলছিলেন। তারও মনে হয়, ফাইনালে রিজার্ভ ডে থাকলে ভালো হতো। কারণ এরকম ম্যাচে বৃষ্টির জন্য খেলা না হলে সবার জন্যই হতাশার।

     

     

     কিন্তু বিসিবির পরিকল্পনায় ছিল না বলে সেটা আর হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র পাঁচটি ফাইনাল কোনো বল না হয়ে পরিত্যক্ত হয়েছে। ২০০৩ সালে এই ঢাকাতেই টিভিএস কাপে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ বৃষ্টির জন্য পণ্ড হয়েছিল। আজ হলো আবারও।