• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    আফগানিস্তানের কোচ হলেন ক্লুজনার

    আফগানিস্তানের কোচ হলেন ক্লুজনার    

    বিশ্বকাপের পরেই চলে গিয়েছিলেন ফিল সিমন্স। বাংলাদেশের সিরিজে অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে কাজ চালিয়ে নিয়েছেন অ্যান্ডি মোলস। তবে আফগানিস্তানের মূল কোচের পদ ছিল ফাঁকাই। সেই পদে যোগ দিচ্ছেন ল্যান্স ক্লুজনার, আনুষ্ঠানিকভাবে আফগান ক্রিকেট দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাবেক অলরাউন্ডার।

    বিশ্বকাপের পরেই একটা পালাবদল আসে আফগান ক্রিকেটে। সিমন্স চলে যান, একই সঙ্গে তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক হন রশিদ খান। শাহজাদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন জাতীয় দলে। তবে সেই ক্রান্তিকালের মধ্যেই বাংলাদেশে এসে তাদের টেস্টে হারিয়ে গেছে আফগানিস্তান, সম্প্রতি ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপাও ভাগাভাগি করেছে। এর মধ্যে কোচ খোঁজার প্রক্রিয়াও চলতে থাকে। ৫০ জনেরও বেশি কোচ আবেদন করেছিলেন ফাঁকা পদে। তাদের মধ্য থেকে ক্লুজনারকেই বেছে নিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

    নিজের সময়ের তো বটেই, সাদা বলে সর্বকালেরই সেরা অলরাউন্ডারদের অন্যতম ছিলেন ক্লুজনার। খেলা ছাড়ার পর থেকে জড়িয়ে আছেন কোচিংয়ে।  একটা সময় বোলিং কোচ ছিলেন, ২০১২ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজ্য দল ডলফিনসের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং কোচ হিসেবে যোগ দেন, বাংলাদেশেও এসেছিলেন। কিন্তু জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের টালমাটাল সময়ে সেই দায়িত্ব ছাড়তে হয়। এরপর গত বছর বিপিএলে বাংলাদেশে এসেছেন রাজশাহী কিংসের কোচ হিসেবে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে খন্ডকালীন কাজ করেছেন, কদিন আগেই ভারত সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলের সঙ্গে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। তবে জাতীয় দলে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা এটাই প্রথম।

    ক্লুজনার অবশ্য এই চ্যালেঞ্জ নিতে সাগ্রহে অপেক্ষা করছেন, ‘আফগানিস্তান যে ধরনের আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে, সেটা সবাই জানে। আশা করি আমি এই ব্র্যান্ডটা আরও ওপরে নিয়ে যেতে পারব, বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি হবে আফগানিস্তান। এই সুযোগটা পেয়ে আমি খুবই গর্বিত।’

    নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে ক্লুজনারের আনুষ্ঠানিক কাজ।