জিম্বাবুয়েকে থমকে দিয়ে ঐতিহাসিক জয় সিঙ্গাপুরের
সিঙ্গাপুর ১৮১/৯, ১৮(১৮) ওভার
জিম্বাবুয়ে ১৭৭/৭, ১৮(১৮) ওভার
সিঙ্গাপুর ৪ উইকেটে জয়ী
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে সিঙ্গাপুর। ১৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ১৮১ রান করে জিম্বাবুয়েকে তারা আটকে দিয়েছে ১৭৭ রানেই। শেষ ৩০ বলে ৮ উইকেট বাকি রেখে ৪০ রান প্রয়োজন ছিল জিম্বাবুয়ের, নাটকীয় ধ্বসে থমকে গেছে তারা। মাত্র ৪ ম্যাচের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সিঙ্গাপুরের কাছে সে ধ্বস হয়ে দাঁড়িয়েছে ঐতিহাসিক মুহুর্ত হিসেবে। এর আগে কাতার, মালয়েশিয়া ও নেপালের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল শুধু সিঙ্গাপুরের।
ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে আগে ব্যাটিং করা সিঙ্গাপুরের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। প্রথম ৬ ওভারেই দুই ওপেনার মিলে তুলেছিলেন ৬২ রান। ২২ বলে ৩৯ রান করে রোহান রঙ্গরাজন রান-আউট হলে ভেঙেছে সে জুটি। সে ওভারে আরেক ওপেনার চন্দ্রমোহনও ফিরেছেন রায়ান বার্লের বলে, তিনি করেছিলেন ১৭ বলে ২৩ রান।
জোড়া ধাক্কার পর সিঙ্গাপুরের নাগাল একটু টেনে ধরেছিল জিম্বাবুয়ে, পরের ৪ ওভার মিলিয়ে উঠেছিল ২৩ রান। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার এক ওভারে দুই ছয়ে সে শেকল ভেঙেছেন টিম ডেভিড। তার ২৪ বলে ৪১ রানের ইনিংসে সিঙ্গাপুর দিয়েছে বড়সড় লাফ, ২টি চারের সঙ্গে ৪টি ছয় মেরেছেন ডেভিড। তার পর ঝড় শুরু করেছেন মারপ্রিত সিং, ২৩ বলে তিনিও করেছেন ৪১ রান। শেষদিকে দ্রুত উইকেট হারালেও দারুণ এক সংগ্রহ পেয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
রানতাড়ায় তৃতীয় ওভারে ব্রায়ান চারি ফিরলেও ঠিক পথেই ছিল জিম্বাবুয়ে। রেজিস চাকাভা, শন উইলিয়ামস ও টিনোটেনডা মুতোমবদজির ব্যাটিংয়ে তাদের পরাজয়কে মনে হচ্ছিল প্রায় অসম্ভব। ১৯ বলে ৩ ছয় ও ৬ চারে ৪৮ রান করে ফিরেছেন চাকাভা, ততক্ষণে জিম্বাবুয়ে ৬ ওভার শেষ হওয়ার আগেই তুলে ফেলেছে ৬৩ রান।
তৃতীয় উইকেটে উইলিয়ামস ও মুতোমবদজি মিলে তুলেছেন আরও ৭৯ রান। পরেরজন ২৫ বলে ৩২ রান করে ফিরলে ভেঙেছে সে জুটি। এক ওভার পরে উইলিয়ামসের উইকেট দিয়েই বেঁধেছে বিপত্তি। আমজাদ মাহমুদের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে উইলিয়ামস করেছেন ৩৫ বলে ৫টি করে চার ও ছয়ের সহায়তায় ৬৬ রান।
শেষ ১২ বলে ১৭ রান প্রয়োজন ছিল জিম্বাবুয়ের। শেষের আগের ওভারে জনক প্রকাশ ২ উইকেট নিয়েছেন ৭ রান দিয়ে, শেষ ওভারে সিদান্ত সিংয়ের কাছ থেকে জিম্বাবুয়ে নিতে পেরেছে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৫ রান। শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি সেসব।