চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর ষোল বছর
পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে এক প্রীতি ম্যাচে নজর কেড়েছিলেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের। এরপর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাড়ি জমিয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। 'রেড ডেভিল'দের হয়েই চ্যাম্পিয়নস লিগের মূলপর্বে অভিষেক হয়েছিল তার। ২০০৩ সালের ১ অক্টোবর জার্মান ক্লাব ভিএফবি স্টুটগার্টের বিপক্ষে প্রথমবার মূলপর্বে নেমেছিলেন রোনালদো, ১৬ বছর পর কাকতালীয়ভাবে আরেক জার্মান ক্লাব বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে মাঠে নামছেন তিনি। জার্মান ক্লাবগুলোর বিপক্ষে রেকর্ড রীতিমত ঈর্ষনীয় রোনালদোর, ২৪ ম্যাচে করেছেন ২৬ গোল।
ইউনাইটেডের হয়ে মূলপর্বে অভিষেক হলেও স্পোর্টিংয়ের হয়েই চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মত নেমেছিলেন রোনালদো। ২০০২-০৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল তার। মূলপর্বের প্রথম ম্যাচটি অবশ্য স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি রোনালদো। পেনাল্টি আদায় করলেও শেষমেশ ২-১ গোলে স্টুটগার্টের কাছে হেরে গিয়েছিল ইউনাইটেড।
কিন্তু গত ১৬ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন 'সিআর৭'। ১৬৩ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১২৬টি, চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন পাঁচবার। চ্যাম্পিয়নস লিগের একাধিক রেকর্ডের মালিকও তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে সবার আগে গোলের 'সেঞ্চুরি' পূরণ করেছিলেন রোনালদো। এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড তার (১৭)। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে গোল করেছেন রোনালদো। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বের প্রতি ম্যাচে গোল, টানা সর্বোচ্চ ম্যাচে (১১) গোলের রেকর্ডও তার। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিকও আছে রোনালদোর।
গোলের মত চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের মালিকও রোনালদোই (৩৯)। এক বছরের হিসাবে চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ গোল করা ফুটবলারও তিনিই (২০১৭ সাল, ১৯ গোল)। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বেও সর্বোচ্চ গোল রোনালদোরই (৫৬), কোয়ার্টার (২২) এবং সেমিফাইনালে (১৪) গোলের দিক দিয়েও সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা ছয় মৌসুম সর্বোচ্চ গোলের মালিক ছিলেন 'সিআর৭। পেনাল্টি থেকেও চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি (১৫)।