তুরস্কে পিএসজিকে জয় এনে দিলেন ইকার্দি
নতুন ক্লাবের হয়ে গোলের খাতা খুলেছেন মাউরো ইকার্দি। গোলটির গুরুত্ব আরও বেড়েছে ম্যাচ শেষে। তুরস্কে ইকার্দির একমাত্র গোলে গ্যালাতাসারেইকে হারিয়েছে পিএসজি। তাতে দুই ম্যাচে দুই জয় নিয়ে পুরো ছয় পয়েন্ট পুরেছে থমাস তুখলের দল। রাতের প্রথম ম্যাচে গ্রুপে পিএসজির সঙ্গী রিয়াল মাদ্রিদ ড্র করেছে ক্লাব ব্রুজের সঙ্গে।
রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-০ গোলে হারানোর পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ অতোটা কঠিন ছিল না পিএসজির। তবে বৈরি ইস্তাম্বুলে কাজটা যে কঠিন সেটা পুরোটা সময়ই টের পেয়েছে তুখলের দল। নেইমার নিষেধাজ্ঞার শেষ ম্যাচ কাটিয়েছেন, কিলিয়ান এমবাপ্পে ছিলেন বেঞ্চে। তাই ইকার্দি নেতৃত্ব দিয়েছেন পিএসজির আক্রমণে।
রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের নায়ক অ্যানহেল ডি মারিয়া শুরুতেই সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরা বাধা টপকাতে পারেননি। এর কিছুক্ষণ পর উরুগুইয়ান গোলরক্ষককে ফাউল করে ইকার্দি দেখেছেন হলুদ কার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে ডি মারিয়া মুসলেরাকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। এরপর ৫২ মিনিটে আসি আসি করা গোলটি পাইয়ে দেন ইকার্দি। ভেরাত্তি বক্সের ভেতর পাস দিয়েছিলেন পাবলো সারাবিয়াকে। তিনি ফারপোস্টে স্কয়ার করেন ইকার্দিকে, টোকা দিয়ে বাকি কাজ সারেন আর্জেন্টাইন। দারুণ এক সাজানো আক্রমণ থেকে গোল পেয়ে যায় পিএসজি।
ম্যাচের সময় ঘন্টা খানেক পার হওয়ার পর এমবাপ্পের বদলি হয়ে মাঠে ছাড়েন ইকার্দি। এরপর অবশ্য গ্যালাতাসারেই ম্যাচে ফিরতে পারত। রাদামেল ফ্যালকাওয়ের পিএসজি সমর্থকদের তাঁতিয়ে দেওয়া হয়নি শেষ পর্যন্ত। ২০ মিনিট বাকি থাকতে ২০ মিটার দূর থেকে নেওয়া ফ্যালকাওয়ের শট চলে যায় কেইলর নাভাসের বারপোস্টে লেগে বাইরে দিয়ে।
গ্রুপ 'সি'- এর ম্যাচে ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে ধুঁকতে হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটিকেও। অবশ্য সেটা গোল পেতে। একের পর এক আক্রমণকরে যাচ্ছিল তারা ডিনামো জাগরেবের বিপক্ষে। ৬৬ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে পেপ গার্দিওলার দলকে। রাহিম স্টার্লিং করেছেন প্রথম গোল, এরপর শেষদিকে গিয়ে ফিল ফোডেন দ্বিতীয়টি। সিটি শেষ পর্যন্ত জিতেছে ২-০ ব্যবধানে।