• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    হিগুয়াইন-রোনালদোতে প্রথম জয় পেল জুভেন্টাস

    হিগুয়াইন-রোনালদোতে প্রথম জয় পেল জুভেন্টাস    

    চ্যাম্পিয়নস লিগ

    ফলাফল জুভেন্টাস ৩-০ বেয়ার লেভারকুসেন


    ৮৫ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় তাকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাচ্ছিলেন জুভেন্টাস সমর্থকেরা। একটা সময় এই ক্লাবেই গঞ্জালো হিগুয়াইনকে শুনতে হয়েছিল দুয়ো, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আসার পর তো ধারেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্য ক্লাবে। মরিজিও সারির অধীনেই নাপোলিতে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছিলেন, সেই সারির অধীনে জুভেন্টাসেই ফিরলেন স্বরূপে। রোনালদো, পাউলো দিবালাদের মত ফুটবলার থাকলেও বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে রাতটা হয়ে থাকল হিগুয়াইনেরই। ‘এল পিপিতা’র নিজেকে ফিরে পাওয়ার ম্যাচে লেভারকুসেনকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস। রোনালদো, হিগুয়াইন, বের্নাদেস্কি- তিন ফরোয়ার্ডই পেয়েছেন গোল।

    অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দুই গোলের লিড হারানোয় জয়ের দেখা আর পাওয়া হয়নি। নিজেদের মাঠে জুভেন্টাস শুরুর থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক।  ৫ মিনিটে রোনালদোর আগুনে শট লেভারকুসেন গোলরক্ষক রাদেকি ফিরিয়ে না দিলে তখনই লিড নিত সারির দল। রোনালদোর ঐ শটে পাস বাড়িয়েছিলেন হিগুয়াইনই, ১৭ মিনিটেই নিজেই দলকে এনে দিলেন লিড। জোনাথন টাহ-এর ভুলে ডিবক্সের বাইরে পাওয়া বল নিয়ন্ত্রণে এনে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন হিগুয়াইন। প্রথমার্ধে গোলের আগে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলা লেভারকুসেন বাকিটা সময় খেলেছে রক্ষণাত্মক।

     

    গোলের পর উচ্ছ্বসিত হিগুয়াইন

     

    ম্যাচে ফেরার চেয়ে যেন আর গোল না খাওয়ার দিকেই নজর বেশি ছিল পিটার বশের দলের। কিন্তু তারপরও লেভারকুসেন রক্ষণভাগকে তটস্থ রেখেছিলেন হিগুয়াইন। ৩৮ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে তার বাঁকানো শট লেভারকুসেন গোলের ক্রসবারে প্রতিহত না হলে ব্যবধান তখনই দ্বিগুণ করতে পারত তারা। তবে দ্বিতীয় গোল পেতে খুব একটা কাঠখড় পোড়াতে হয়নি জুভেন্টাসকে। ৬১ মিনিটে রোনালদোর সাথে দারুণ এক ‘ওয়ান টু’ করে বাঁ-প্রান্ত থেকে ‘সিআর৭’-র উদ্দেশ্যে ক্রস করেন হিগুয়াইন।

     

    গোল উদযাপনে ব্যস্ত জুভেন্টাস

     

    রোনালদো ক্রস নাগাল না পেলেও রাদেকিকে পরাস্ত করতে ভুল করেননি ফেদেরিকো বের্নার্দস্কি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য গোলের দারুণ কিছু সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু কখনও নিজের ভুলে, বা কখনও রাদেকির দুর্দান্ত সব সেভে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাকে। ৬৮ এবং ৭৬ মিনিটে রোনালদোর দুটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দিয়েছেন লেভারকুসেন গোলরক্ষক। তবে হাল ছাড়েননি রোনালদো, লেগে থাকার পুরস্কারটাও পেয়েছেন শেষদিকে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে বদলি ফুটবলার পাউলো দিবালার থ্রু পাসে অবশেষে রাদেকিকে পরাস্ত করেন রোনালদো। জার্মান ক্লাবগুলোর বিপক্ষে গোলের অবিশ্বাস্য রেকর্ডটা আরও বাড়িয়ে নিয়েছেন 'সিআর৭' (২৫ ম্যাচে ২৭ গোল)।

    চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা আরও একটি রেকর্ড ছুঁয়েছেন এই গোল দিয়ে। লেভারকুসেনের বিপক্ষে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিলেন। ১৬ বছর আগে এদিনে আরেক জার্মান ক্লাব স্টুটগার্টের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে যাত্রা শুরু হয়েছিল রোনালদো। এই নিয়ে ইউরোপে মোট ৩৩ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল করলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। ছুঁয়েছেন রাউল গঞ্জালেজের সবচেয়ে বেশি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল করার রেকর্ড। আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, এই রেকর্ডটাও কিছুদিন পর শুধু নিজের করে নেবেন রোনালদো!

    ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের টেবিলের দুইয়ে থাকল সারির দল। একই সময়ে শুরু হওয়া অন্য ম্যাচে লোকোমোটিভ মস্কোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। গ্রুপে দুই দলেরই পয়েন্ট সমান, ৪।