তানজিদ-মাহমুদুলে দ্বিতীয় ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডকে হারাল বাংলাদেশ অ-১৯
নিউজিল্যান্ড অ ১৯ ৫০ ওভারে ২৪২/৬( জোহরাব ১১২; মৃত্যুঞ্জয় ২/৪২ )
বাংলাদেশ অ ১৯ ৪৬.৩ ওভারে ২৪৩/৪ (মাহমুদুল ৯৯; ম্যাকেঞ্জি ২/৩৯)
ফলঃ বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী
লিংকনের ম্যাচটা কাল ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। আজ অবশ্য বৃষ্টি আর বাগড়া দিল না, নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব ১৯ ও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের খেলা হলো ঠিকমতোই। প্রথম ম্যাচের মতো আজও সহজ জয়ই পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল, এবারের জয়টা এসেছে ৬ উইকেটে। এমন একটা জয়ের পর একটু আক্ষেপ শুধু থাকতে পারে মাহমুদুল হাসান জয়ের, ১ রানের জন্য সেঞ্চুরিটা যে পাননি তিনি!
টসে জিতে আজ শুরুতে ব্যাট করতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার ওজে হোয়াইট এবং টমাস জোহরাব ৫৫ তুলে ফেলেছিলেন। ১৩তম ওভারে এসে বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী বিচ্ছিন্ন করেন জুটি, তুলে নেন হোয়াইটকে। এরপর জোহরাব ও আনসেল আরও একটি জুটি গড়েন, অফ স্পিনার শামীম হোসেন অবশ্য রান আটকে রাখছিলেন। শেষ পর্যন্ত খোলস ছেড়ে বেরুতে গিয়ে বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের বলে আনসেল আউট হয়ে যান ২০ রান করে। আনলাকি থার্টিনে এরপর ফিরে যান ক্লার্ক, শরিফুলের বলে ক্যাচ দিয়েছেন মিড অনে।
জোহরাব এক প্রান্ত থেকে দেখতে থাকেন সতীর্থদের আসা যাওয়া। ম্যাকেঞ্জি আনলাকি থার্টিনে মিড অনে ক্যাচ দিয়েছেন শরিফুলের বলে। ১০ রানে ভিশভাকা আউট হয়ে গেছেন শামীমের বলে। তবে জোহরাব ছিলেন, ১৩৩ বলে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। কিন্তু উইকেট থাকার পরও শেষ ১০ ওভারে ৭০ রানের বেশি তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ৪৯তম ওভারে গিয়ে আউট হয়েছেন জোহরাব, ১৪২ বলে ১১২ রান করে। ২৪২ রানের বেশি তুলতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ২ উইকেট নিয়ে মৃত্যঞ্জয় ছিলেন সফলতম বোলার, তবে রান আটকে রাখার আসল কাজটা করেছেন শামীম ও রাকিবুল।
এই রান তাড়া করতে গিয়ে ৩১ রানে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। তানজিদ ও মাহমুদুল অবশ্য দারুণ ব্যাট করছিলেন, ১০ ওভারের মধ্যে দুজন তুলে ফেলেন ৫৫ রান। ৬৩ বলে ৬৫ রান করার পর অশোকের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তানজিদ, ১২৬ রানে বাংলাদেশ হারায় দ্বিতীয় উইকেট। এরপর মাহমুদুলের সাথে তৌহিদ হৃদয়ের ৭৭ রানের জুটিই নিশ্চিত করে দিয়েছে বাংলাদেশের জয়। ৫৫ বলে ৪০ রান করে আউট যান তৌহিদ। তবে মাহমুদুল সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়ে ফেরারই পথে ছিলেন। কিন্তু ৯৯ রানে ম্যাকেঞ্জিকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন মিডউইকেটে। জয় থেকে তখন মাত্র ৮ রান দূরে বাংলাদেশ, বাকি কাজটা সারতে শামীম ও শাহাদাতের সমস্যা হয়নি।