কাতারের বিপক্ষে জয় থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজবেন ডে
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতার এবার প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের। এই কাতারের বিপক্ষে একটা সুখস্মৃতিও আছে বাংলাদেশের। গতবার এশিয়ান গেমসে কাতারকে তাদের মাঠেই হারিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল জেমি ডের দল।
বাংলাদেশ কোচ এই কাতার আর সেই কাতারের পার্থক্যটা জানেন। সেবার বাংলাদেশ আর কাতারের ম্যাচটি হয়েছিল মূলত অনুর্ধ্ব-২৩ দলের। কাতার এখনকার জাতীয় দলে সেই দলের আছেন একজন খেলোয়াড়। ডে বলছেন ওই ম্যাচটি বড় অনুপ্রেরণা বাংলাদেশের জন্য, তবে আন্তর্জাতিক ফুটবল আলাদা।
“ওই ম্যাচ থেকে আমরা অনুপ্রেরণা নিতে পারি। আমরা জানি আমাদের দিনে হয়ত আমরা কাতারকে হারাতে পারি। কিন্তু ওদের দলের দিকে দেখুন, ওরা শীর্ষ ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলে। আন্তজার্তিক ফুটবল আর অনুর্ধ্ব-২৩ ফুটবল আসলে আলাদা।”- বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে কাতারের মুখোমুখি হওয়ার আগে বলেছেন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ।
কাতারের বিপক্ষে ম্যাচটা আসলে ডের কোচিং ক্যারিয়ারেরই সবচেয়ে বড় ম্যাচ। বড় একটা উপলক্ষ্যও, “অবশ্যই এটা আমার জন্য সবচেয়ে বড় ম্যাচ। শুধু আমার জন্য নয় খেলোয়াড়দের জন্যও। কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক, ওরা বিশ্বকাপে খেলবে। ওদের বিপক্ষে খেলতে পারা বড় একটা ব্যাপার। এ ধরনের ম্যাচে খেলোয়াড়রা উন্নতি করতে পারলে সেটা আমাকে আরও বড় কোচ বানাবে।”
এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিপক্ষে খেলতে পারার উত্তেজনা হয়ত কাজ করছে ডের, তবে দুশ্চিন্তার ভাঁজ কমছে না। ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা ভুটানের বিপক্ষে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। তার খেলা হচ্ছে না। টুটুল হোসেন বাদশাকে স্কোয়াডে আছেন। তার খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে না দিলেও কোচের কথা-বার্তায় বোঝা গেছে একাদশে থাকার সম্ভবনা কমই বাদশার।
বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে ১০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কাতারের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল ডের দল।