• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    পেছাতে পারে বিপিএল, বাধ্যতামূলক 'প্রতি একাদশে একজন করে লেগস্পিনার খেলানো'

    পেছাতে পারে বিপিএল, বাধ্যতামূলক 'প্রতি একাদশে একজন করে লেগস্পিনার খেলানো'    

    এক সপ্তাহ থেকে দশ দিন পিছিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলের এবারের আসর। এই ‘বিশেষ’ আসরে প্রতি দলে একজন করে লেগস্পিনার খেলানোর 'বাধ্যবাধকতা'র সঙ্গে প্রতিটি দলে কমপক্ষে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারা আন্তর্জাতিক একজন পেসার খেলানোর 'চাওয়া' থাকবে বিসিবির। প্রতিটি দলে একজন করে আন্তর্জাতিক কোচ ও একজন করে ডিরেক্টর নিয়োগ দেবে বিসিবি। স্পন্সরদের সঙ্গে মিটিংয়ের পর এসব জানিয়েছেন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল ও মুখপাত্র মাহবুব আনাম। 

    ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির সঙ্গে মতৈক্যে পৌঁছাতে না পেরে এবার সে পদ্ধতি থেকে সরে এসে নিজেরাই বিপিএল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। এর আগে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস নির্ধারিত সময়ে বিপিএল হবে জানালেও সোহেল ও মাহবুব বলছেন, তারা ‘অপশন’ রাখছেন, “আমরা আস্তে আস্তে এগুচ্ছি। একটা শেষ করলাম কেবল। যেহেতু বিপিএল আমরা যে তারিখটা বলছিলাম যে- ডিসেম্বরের ৬ তারিখে, হয়ত এক সপ্তাহ পেছাতে পারি”, বলছেন সোহেল। 

    “আপনারা জানেন যে এরপর একটি আন্তর্জাতিক সিরিজ আছে (পাকিস্তানের বিপক্ষে), ওই সিরিজটার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা বিপিএলটা খেলব। সুতরাং বিপিএল খেলার জন্য আমাদের যেটুকু সময় লাগে সেটুকু সময় পুরোপুরি নিয়েই আমরা বিপিএল খেলব। আমাদের আরও দুটো স্পন্সরশিপ যারা চেয়েছেন তাদের সাথে মিটিংটা শেষ করার পরেই গভর্নিং কাউন্সিল পরের মিটিংটা করবেন।”
     


    রান নিচ্ছেন সুনীল নারাইন ও রনি তালুকদার/বিসিবি


    ফ্র্যাঞ্চাইজি না থাকলেও প্রতিটি দলের জন্য স্পন্সর খুঁজছে বিসিবি। দল গঠনে তাদের সরাসরি ভূমিকা না থাকলেও পরোক্ষ ভূমিকা থাকতে পারে জানিয়ে মাহবুব বলেছেন, এরই মাঝে ৪০০ বিদেশী ক্রিকেটার তাদের কাছে নিবন্ধন করেছেন। প্রতিটি দলে একজন করে বিদেশী কোচ নিয়োগ দেবেন তারা। 

    তবে এর চেয়েও বড় চমক হয়ে এসেছে লেগস্পিনার ও ১৪০ কিলোমিটার গতির ওপর বল করতে পারা পেসারদের খেলানোর বাধ্যবাধকতার নিয়মের ভাবনা, “এবারে যে বিপিএল হতে যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু বিপিএল, আমরা কিছু বাধ্যবাধকতা দিয়ে দিব সেখানে”, বলছেন মাহবুব, “টুর্নামেন্টটা করার প্রধান কারণ- বাংলাদেশের ক্রিকেটার বের করে আনা। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যদি পজিশনমতো ব্যাটিং করতে না পারে, বোলিং করতে না পারে, তবে এই টুর্নামেন্টের সার্থকতা কমে যাবে। আমরা লেগস্পিনার খুঁজছি।” 

    “কিছু কিছু নিয়ম বাধ্যতামূলক থাকবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি যখন আসে, তখন তাদের জয় পাওয়ার আশায় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেশ কিছু জায়গায়- তারা পিছিয়ে পড়ে গেছে। সেক্ষেত্রে আমরা (যেটা) করব- আমাদের জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে কিছু সাজেশন এসেছে- যে আমাদের লেগস্পিনার দরকার, প্রতিটি দলে একজন লেগস্পিনার খেলাতেই হবে, এবং তাকে বাধ্যতামূলকভাবে ৪ ওভার বোলিং করাতেই হবে। এবং তাকে ‘বেস্ট ইলেভেনে’ থাকতে হবে, যেহেতু ৪ ওভার বোলিং করতেই হবে।”

    পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফাস্ট বোলারদের নিয়ে তাদের চাওয়া, “এবং আমরা যাইব, যারা আন্তর্জাতিক পেসার আসে, তাদের মধ্যে ন্যূনতম ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করে এমন বোলার আসে, যেন এমন বোলার অন্তর্ভুক্ত করে। আমাদের ক্রিকেটারদের একটা ব্যালেন্স করতে চাই, যেন তারা ‘গ্রো’ করে, সেটি চাই। উদ্দেশ্য হচ্ছে- যেহেতু আমরা বিসিবির টাকা ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করতে চাই, এবং উন্নয়নে যদি আমরা খরচ করতে চাই, তাহলে বাধ্যবাধকতা থাকবে।”

    প্রতিটি দলে আন্তর্জাতিক কোচ নিয়োগের কথাও জানিয়েছেন তিনি, “আমরা প্রতিটা দলে আন্তর্জাতিক কোচ নিয়োগ দেব। সেজন্য যেই যেই কোচ বিপিএলে অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়েছে, তারা নামও পাঠিয়েছে। আমরা একই সঙ্গে ফিজিও, ট্রেইনার এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের অন্তর্ভুক্তি করে ফেলছি।” 

    তবে স্থানীয় কোচদের সম্ভাবনা নাকচ করে দিচ্ছেন না তারা, “স্থানীয় কোচ সম্পৃক্ত থাকতে পারে এবং প্রতিটি দলে একজন করে টিম ডিরেক্টর থাকবেন।”

    তবে তাদের নাম বলতে চাননি তিনি, “না, নাম বললে তো ইয়ে থাকল না। কারন কাউকে আমরা ফ্রি কোয়ালিফাই করাতে চাই না। আমরা যদি কারও নাম বলি তাহলে হয়ত তারা হয়ে যাবে ‘ফ্রি কোয়ালিফাইড’।”