বিপিএলে থাকছে দেশী কোচদের সুযোগ?
প্রতিটি একাদশে বাধ্যতামূলক একজন লেগস্পিনারকে খেলানো, ১৪০ কিলোমিটার গতির ওপরে বোলিং করতে পারা একজন পেসার, সঙ্গে বিদেশী কোচ, ফিজিও, ট্রেইনার-- বিপিএলের এবারের আসর অনেক নতুন কিছু দেখবে বলেই ইঙ্গিত মিলেছিল স্পন্সরদের সঙ্গে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিংয়ে। লেগস্পিনার, পেসারদের ব্যাপারগুলি বেশ নতুন। তবে বিদেশী কোচদের ব্যাপারটি আবার দেশের ক্রিকেট কাঠামোতে একটা ধাক্কাও। তবে ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলছেন, চূড়ান্ত হয়নি কিছুই, তেমন হলে সুযোগ পাবেন দেশীয় কোচরাও।
ফ্র্যাঞ্চাইজি না থাকায় এবার নিজেরাই বিপিএল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি, যা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনে। শেষ বিপিএলে সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির মাঝে দুজন দেশী কোচ ছিলেন- চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কোচ ছিলেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও রানার্স-আপ ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ ছিলেন খালেদ মাহমুদ। এবার প্রতিটি দলেই বিদেশী কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলে তাই বন্ধ হয়ে যেতো তাদের সুযোগ।
“এ রকম কোনো কথা নেই। যে ভালো করছে, তারাও সুযোগ পেতে পারে। পুরোটাই মিটিংয়ের পর সিদ্ধান্ত হবে। যারা কোচ হিসেবে ভালো করছে, তাদের কথা তো আসবেই”, বলেছেন আকরাম।
দলে একজন করে ডিরেক্টর নিয়োগের সিদ্ধান্তও অফিশিয়াল নয় বলে জানিয়েছেন তিনি, “অফিসিয়ালি কিছু হয় নাই। কিছুদিনের মধ্যেই দলগুলি নির্বাচিত থাকবে থাকবে। প্রতিটি দলে একজন করে ডিরেক্টর থাকবে। (তবে) এটা অফিসিয়াল নয়। আমি থাকবো কি না, জানি না।”
আর পেসারদের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, মূলত মানসম্পন্ন পেসার আনতে চান তারা, “সেটা আলাপ আলোচনার মধ্যে হবে। যেটা সবচেয়ে ভাল হবে, সেটাই আমরা করবো। অনেকে অনেক কথা বলছে, যেমন ১৪০-এর বেশী গতির বোলারদের কথা হচ্ছে, আমরা আসলে বিদেশি ভালো পেসার আনার চেষ্টা করবো।”
লেগস্পিনারের ক্ষেত্রে এর আগে স্থানীয় বোলারদের কথা আসলেও সেখানেও মান দেখার কথা বলছেন তিনি, “আমাদের তো সাতজন না, ১৪ জনও থাকতে পারে লেগস্পিনার। কিন্তু মূল কথা হলো মান থাকতে হবে। না থাকলে আমরা বাইরে থেকে আনবো।”
আর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ সিপিএল খেলতে এনওসি-তে(অনাপত্তিপত্র) থাকা সাকিব আল হাসান দেশে ফিরেও বিশ্রামে থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি, “গতকাল পর্যন্ত সাকিবের এনওসি ছিলো। এরপর ও আরো একটু বাড়িয়ে নিয়েছে। যেহেতু ওর দল সিপিএল ফাইনালে। আশা করি ১৩ বা ১৪ তারিখে ফিরবে। তারও বিশ্রামের ব্যাপার আছে। এটা কোচের উপর নির্ভর করবে। কোচের পরিকল্পনায় আমরা অনুসরণ করছি। কোচ যেটা বলবে সেটা। কোচের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেবো।”