লিভারপুলে ফিরতে পারেন জেরার্ড!
সেই ১৯৮৭ সালে লিভারপুলের বয়সভিত্তিক দলে যোগ দিয়ে শুরু। ১৯৯৮ সালে মূল দলে যখন অভিষেক হল তখন তার বয়স সবে আঠারো। এরপর ক্লাব ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ অব্দি (১৭ বছর) থেকে গেছেন অ্যানফিল্ডেই। এর মধ্যে আবার ১২ বছর তাঁর কাঁধেই ছিল ইংলিশ ক্লাবটির নেতৃত্বের ভার। গত মৌসুম শেষে প্রিয় দলকে বিদায় জানিয়ে পাড়ি জমান লস অ্যাঞ্জেলেসে। তখনই বলে গিয়েছিলেন যে কোন ভূমিকায় আবার ফিরতে চান অ্যানফিল্ডে। নতুন বছরের শুরুতে সে সম্ভাবনাটাই আবার নতুন করে জানান দিলেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের সাথে আলাপচারিতায় বলছিলেন এ বছরই খেলোয়াড়ি জীবনে ইতি টেনে লিভারপুলে ফিরতে চান কোচিংয়ের কোন ভূমিকায়, “শতভাগ নিশ্চিত নই তবে সম্ভবত এটাই হবে খেলোয়াড় হিসেবে আমার শেষ বছর।...লিভারপুল কোচ ক্লপের সাথে আমার কথা হয়েছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে তাঁরা আমাকে ফিরে পেতে আগ্রহী।”
লিভারপুলের হয়ে ৭১০টি ও ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ১১৪টি ম্যাচে মাঠে নামা জেরার্ড তাঁর প্রত্যাশার কথা জানাচ্ছেন সবিস্তারেই, “লিভারপুলের প্রতি আমার দুর্বলতা সবসময়ই থাকবে। দেশে ফিরে গেলে আমি আমার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার পরিধিটা লিভারপুলে থেকেই বাড়াতে চাই। ম্যানেজারদের খুব কাছ থেকে দেখে আরও কিছু শিখতে চাই। এই বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ আমি ফ্রি হয়ে যাবো। যখন খেলা ছাড়বো দুনিয়া তো জানবেই, ততদিনে কোচিং ব্যাজটা পাবার কাজ ৭৫ শতাংশ শেষ হয়ে যাবে।”
কেন আরও আগে কোচিং লাইসেন্স পাবার কাজটা শুরু করলেন না এ নিয়েও আক্ষেপ আছে তাঁর, “২১-২২ বছর বয়সে কেন কোচিং ব্যাজের জন্য তৎপরতা শুরু করি নি সেটা ভেবে এখন আফসোসই হয়। হোটেলে বসে বসে টিভি সিরিয়াল দেখে সময় নষ্ট না করে যদি সিবিএ লাইসেন্সের কাজটা তখন সেরে ফেলতাম তাহলে এতদিনে পেশাদার কোচিং লাইসেন্সের জন্য কাজ শুরু করে দিতে পারতাম।”
খেলোয়াড়ি জীবনে লিভারপুলের হয়ে দশটি শিরোপা জয়ের সাক্ষী হলেও প্রিমিয়ার লিগ জিততে না পারার আক্ষেপ নিয়েই লাল জার্সিটা তুলে রাখতে হয়েছে তাঁকে। কোচ হয়ে অ্যানফিল্ডে ফিরেই কি সে অতৃপ্তি ঘোচাবেন ‘স্টিভি জি’?