শেষ মুহুর্তে গোল খেয়ে হতাশ ডে
কলকাতার সল্ট লেকে ঐতিহাসিক এক জয়ের পথে এগুতে থাকা বাংলাদেশ হতাশ হয়েছে ৮৮ মিনিটে গোল হজম করে। বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচে তাই এক পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ কোচ জেমি ডের দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টি আছে, কিন্তু শেষ দিকে গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া হওয়ায় কিছুটা হতাশ তিনি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ভারতের মতো দলকে হতাশ করার জন্যই প্রস্তুত থাকে এই বাংলাদেশ দল।
"আমরা আজ (গতকাল) দারুণ খেলেছি। ভারতকে হতাশ করেছি এবং আমার পরিকল্পনা ছেলেরা বাস্তবয়ান করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা দারুণ কিছু সুযোগ পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম তিন পয়েন্ট পেতে হলে যা করতে হয় তার সবকিছুই আমরা করেছি, তাই শেষদিকে এসে গোল হজম করা হতাশার। কিন্তু কলকাতার মতো জায়গায় এসে এমন পরিবেশে খেলে এই ফলও অসাধারণ দলের জন্য।"
"আপনার রক্ষণের শেপ ঠিক থাকলে যে কোনো দলের জন্যই গোল করা কঠিন। আমরা আসলে এমন দলকে হতাশ করার জন্যই তৈরি হয়েছি।"
সল্টলেক স্টেডিয়ামে সাদ উদ্দিনের গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ম্যাচের ৮৮ মিনিটে কর্নার থেকে ভারত ডিফেন্ডার আদিল খান গোল করে সমতায় ফেরান ভারতকে। দ্বিতীয় পর্বে তিন ম্যাচ শেষে এক পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান গ্রুপে সবার নিচে। ভারতের বিপক্ষে জয় পেলেই এক লাফে বাংলাদেশ উঠে যেত তিন নম্বরে।
একে তো শেষদিকের গোল এরওপর সেটপিস- দুটোই হতাশ করেছে ডেকে। বাংলাদেশ কোচ বলছেন ভারতকে তার দল তেমন একটা সুযোগ তৈরি করতে দেয়নি। এরপর সেটপিসে গোল খাওয়াটা তার জন্য হতাশার।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ৮৩ ধাপ। সেই হিসাবে ভারতের বিপক্ষে ড্র-টাও যে বড় অর্জন সেটাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন ডে। "আমরা ভারতের চেয়ে ৮৩ ধাপ পেছনে। আমরা ড্র করেছি, এমন কি জিততেও পারতাম। এমন পারফরম্যান্সের পর মাত্র এক পয়েন্ট পাওয়াটা হতাশারই।"
বড় ম্যাচে শেষ এসে গোল খাওয়া অবশ্য বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। ডের অধীনেও পুরনো গল্পটা বদলায়নি। ডে অবশ্য ড্রটাকে দেখছেন অন্যভাবে, "গতমাসে ভারত কাতারের সঙ্গে ড্র করার পর এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের এই ড্রটাও এর চেয়ে কম কিছু নয়। এমন জায়গায় এসে ৬০,০০০ দর্শকের সামনে খেলে যাওয়া আর প্রতিপক্ষকে কঠিন সময় দেওয়া- এরপর আমি ছেলেদের মানসিকতা ও মনোযোগ নিয়ে ত্রুটি ধরতে পারি না।"
ম্যাচের একবারে শুরুতেই একটি পেনাল্টি পেয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে বক্সের ভেতর ট্যাকেল করেছিলেন ভারত ডিফেন্ডার। রেফারি সেই ডাকে সাড়া দেননি। জেমিও সে ব্যাপারে মন্তব্য করেননি ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে, "আমি এখনও দেখিনি কী ঘটেছিল। না দেখে আমি আসলে কিছুই বলতে পারব না। বলেও আসলেও লাভ নেই এখন। রেফারির কাছে তখন যেটা সঠিক মনে হয়েছিল সেই সিদ্ধান্তই দিয়েছে।"