দুই বদলির জাদুতে আয়াক্সকে হারিয়ে দিল ল্যাম্পার্ডের চেলসি
বদলি হিসেবে নামার পরই ডিবক্সে আয়াক্স গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ভুল ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। প্রতিপক্ষের মাঠে মিচি বাতশুয়াইয়ের এমন সুযোগ হাতছাড়ার পর মেজাজ হারিয়েছিলেন চেলসি ম্যানেজার ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, মাটিতে সজোরে ছুঁড়ে মেরেছিলেন পানির বোতল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঐ বাতশুয়াইয়ের গোলেই আয়াক্সের ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনাতে শেষ হাসি হাসল ল্যাম্পার্ডের চেলসি। ‘এইচ’ গ্রুপে বেলজিয়ান স্ট্রাইকারের গোলে আয়াক্সকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ‘ব্লুজ’রা, ৩ ম্যাচে আয়াক্সের সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে ডাচ চ্যাম্পিয়নদের চেয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় গ্রুপ টেবিলের দুইয়ে থাকল ল্যাম্পার্ডের দল। বছর দুয়েক আগে তার গোলেই নিশ্চিত হয়েছিল আন্তোনিও কন্তের অধীনে চেলসির প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা, একই দিনে আবারও চেলসির হয়ে ব্যবধান গড়ে দিলেন বাতশুয়াই।
ম্যানেজার হওয়ার পর পছন্দের ৪-৩-৩ ফর্মেশনেই দলকে খেলাচ্ছিলেন ল্যাম্পার্ড। তবে আয়াক্সের মাঠে ফর্মেশন বদলে চেলসি খেলেছে ৪-২-৩-১ এ, মাঝমাঠে রস বার্কলির জায়গায় এসেছিলেন মাতেও কোভাসিচ। প্রথমার্ধে আয়াক্সের মাঠে অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা। মেসন মাউন্টের দূরপাল্লার জোরাল শট ছাড়া আয়াক্স গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানাকেও তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি তারা। চেলসির নির্বিষ আক্রমণের সুবাদে ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করতে থাকে এরিক টেন হাগের দল, ৩৫ মিনিটে চেলসির জালে বলও পাঠিয়েছিল তারা; কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি তাদের।
'ব্যাটম্যান' সেভিং চেলসি!
হাকিম জিয়েচের ক্রসে আলতো টোকায় চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগাকে পরাস্ত করেন কুইনসি প্রমিস; কিন্তু ‘ভিএআর’-এ দেখা যায়; অফসাইডে ছিলেন তিনি। প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও অল্পের জন্য গোল বঞ্চিত হতে হয়েছে জিয়েচদের। প্রমিসের কর্নারে আলভারেজের হেড কেপাকে ফাঁকি দিলেও ফিরে আসে বারপোস্টে প্রতিহত হয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের আশায় বাতশুয়াইয়ের সাথে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচকেও নামিয়ে দেন ল্যাম্পার্ড। মৌসুমের বেশিরভাগ সময় বেঞ্চে কাটালেও আয়াক্সের বিপক্ষে দেখা মিলেছে সেই পুরনো পুলিসিচেরই, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে যিনি মাতিয়েছেন ইউরোপ।
নামার পর থেকেই আয়াক্সের দুই ফুলব্যাককে রীতিমত তটস্থ রেখেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে ওনানাকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বাতশুয়াই; ঐ সুযোগটিও তৈরি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়কই। শেষ পর্যন্ত ৮৬ মিনিটে তার মাইনাস থেকেই গোল করেন বেলজিয়ান বাতশুয়াই। তার গোলে দল জিতলেও দ্বিতীয়ার্ধে চেলসির সেরা ফুটবলার ছিলেন পুলিসিচই। আরও একবার সামর্থ্যের জানান দিলেন ল্যাম্পার্ডকে, এবার হয়তো তাকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখাটা কঠিনই হয়ে পড়বে চেলসি ম্যানেজারের জন্য। পুলিসিচ-বাতশুয়াইয়ে ২০১৯-২০ মৌসুমে আয়াক্সের মাঠে জয় পাওয়া একমাত্র দল বনে গেল চেলসি।