পার্মার সাথে ড্রয়ে শীর্ষে ওঠা হল না ইন্টারের
লেচ্চের বিপক্ষে রোনালদোবিহীন জুভেন্টাস ড্র করায় ইন্টার মিলানের সামনে সুযোগ এসেছিল সিরি আ ২০১৯-২০ এর শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করার। স্তাদিও জিউসেপ্পে মিয়াৎজায় লিডও নিয়েছিল আন্তোনিও কন্তের দল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলের ড্রয়ে আর জুভেন্টাসকে টপকানো হয়নি তাদের।
নিজেদের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলে খেলেছে ইন্টার। শুরুর দিকেই গোলের দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল তারা, কিন্তু পার্মা গোলরক্ষক সেপে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। প্রথমার্ধের লাউতারো মার্টিনেজের দুটি আগুনে প্রচেষ্টা দারুণভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ২৩ মিনিটেই আর ইন্টারকে ফেরাতে পারেননি তিনি। কর্নার থেকে দেরমাকুর ক্লিয়ারেন্সে ডিবক্সের বাইরে থেকে হাফভলিতে গোল করেন আন্তোনিও কান্দ্রেভা। গত সপ্তাহে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের পর আবারও নিজেদের মাঠে গোল পেলেন তিনি। তবে লিড নেওয়ার উল্লাস একেবারেই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি কন্তের দলের।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ার পর হতাশ কন্তে। সমতায় ফিরলেও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ায় তাই সন্তুষ্ট হতে পারছেন না তিনি
কিছুক্ষণ পরেই মার্টিন স্ক্রিনিয়ার ভুলে প্রতি-আক্রমণে ইন্টার গোলরক্ষক সামির হান্দানোভিচকে পরাস্ত করেন কারামোয়া। গোল করে দলকে সমতায় ফেরানোর পর কারামোয়ার পাসেই লিড নেয় পার্মা। আবারও সেই প্রতি-আক্রমণে তার পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেন জার্ভিনহো। প্রথমার্ধের বাকিটা সময় পার্মার জমাট রক্ষণভাগকে আর পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি লুকাকুরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে ইন্টার। কান্দ্রেভার ক্রস থেকে সেপেকে পরাস্ত করেন লুকাকু।
প্রথমে অফসাইডের জন্য গোল বাতিল করলেও 'ভিএআর'-এর শরণাপন্ন হয়ে সিদ্ধান্ত বদলান মূল রেফারি। দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময় আক্রমণেই ছিল ইন্টার। কিন্তু পজেশন ধরে রেখে মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ, বা দুই উইং দিয়ে ক্রস- কোনোভাবেই আর সেপের জালে বল পাঠানো হয়নি ইন্টারের। দ্বিতীয়ার্ধের গোলের আশায় মার্টিনেজকে উঠিয়ে তরুণ এস্পোসিতোকে নামিয়ে দেন কন্তে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর গোল পাওয়া হয়নি ইন্টারের। লেচ্চের সাথে জুভেন্টাসের ড্র করার দিনে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারল না 'নেরাজ্জুরি'রা। ৯ ম্যাচ শেষে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকল ইন্টার, ২৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে জুভেন্টাস।