টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্ব নিশ্চিত করল নামিবিয়া-নেদারল্যান্ডস
বাছাইপর্বের প্লে-অফ ম্যাচ মানেই যেন নামিবিয়ার হতাশার গল্প। আগের তিনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পাঁচটি প্লে অফ ম্যাচে হেরে মূল পর্বে খেলা হয়নি নামিবিয়ার। এবার শেষ পর্যন্ত প্লে-অফে এসেই বিশ্বকাপে যাওয়া নিশ্চিত হলো তাদের। ওমানকে ৫৪ রানে হারিয়ে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে পৌঁছে গেছে নামিবিয়া। আরেক প্লে-অফে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে তাদের সাথে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে নেদারল্যান্ডসও।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও নামিবিয়াকে হারিয়ে তাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়েছিল ওমান। এবার অবশ্য তেমনটা হতে দেয়নি নামিবিয়া। প্রথমে ব্যাট করে জেজে স্মিথ ও ক্রেইগ উইলিয়ামসে ভর করে ২০ ওভারে ১৬৭ রানের স্কোর দাঁড় করায় নামিবিয়া। স্মিথ করেন ৫৯ রান, উইলিয়ামস করেছেন ৪৫ রান।
তবে জবাবটাও দারুণভাবেই দিচ্ছিল ওমান। পাঁচ ওভারের মাঝেই এক উইকেটে তারা তোলে ৫৫ রান। বেনার্দ স্কোলজ ও অধিনায়ক জারহার্ড এরাসমুসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওমানের মিডল অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। স্কোলজ ও জারহার্ড দুইজনই নেন তিন উইকেট। শেষ পর্যন্ত ওমান অলআউট হয় ১০৭ রানে। ওমানের সামনে অবশ্য বিশ্বকাপে খেলার আরেকটি সুযোগ আছে। আজ হংকংয়ের বিপক্ষে এলিমিনেশন প্লে-অফে মাঠে নামবে ওমান। সেই ম্যাচে জিতলেই অস্ট্রেলিয়া যাওয়া নিশ্চিত হবে তাদের।
বিশ্বকাপে পৌঁছে গেলো ডাচরাও
প্রথম কোয়ালিফাইং প্লে অফে নেদারল্যান্ডসের কাছে পাত্তাই পায়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক দুইদিন আগে অধিনায়কসহ তিনজন ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হন আরব আমিরাতের। গ্রুপ পর্বে তবুও দারুণ খেলে প্লে-অফ পর্যন্ত পৌঁছেছে তারা। প্লে অফে অবশ্য ডাচডের বোলিং তোপে মুখ থুবড়ে পড়েছে আরব আমিরাতের ব্যাটিং। ৯ রানের মাঝেই পড়ে তাদের পাঁচ উইকেট। আহমেদ রাজার ২২ রানের কল্যাণে ২০ ওভারে তারা তোলে ৯ উইকেটে ৮০ রান। নেদারল্যান্ডসের ব্রেন্ডন গ্লোভার নিয়েছেন ১২ রানে ৪ উইকেট।
৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং নেমে খুব বেশি হ্যাপা পোহাতে হয়নি নেদারল্যান্ডসকে। বেন কুপারের অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসের সুবাদে ২৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় তারা। এই জয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পৌঁছে গেল ডাচরা।