বায়ার্নের সবাইকে ধৈর্য ধরতে বললেন কোভাচ
ম্যাচের স্কোরলাইনটা দেখে হয়তো অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছে। বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগায় পাঁচ গোল হজম করেছে, এমন দৃশ্য তো আর সচরাচর দেখা যায় না। ফ্র্যাঙ্কফুটের কাছে ৫-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাভারিয়ানরা। দলের এমন হারে কোচ নিকো কোভাচের ভবিষ্যৎও এখন অনিশ্চিত। ফ্র্যাঙ্কফুটের ম্যাচের পর কোভাচ অবশ্য বলছেন, তিনি এখনই হার মানতে প্রস্তুত নন।
২০০৮-০৯ মৌসুমের পর জার্মান লিগে এটাই বায়ার্নের সবচেয়ে বড় হার। এই মৌসুমে মাত্র ১০ ম্যাচে ১৬ গোল হজম করেছে বায়ার্ন। মৌসুমের শুরুতেই এতো গোল হজমের ঘটনাও সবশেষ ঘটেছিল ১১ বছর আগে। কালকের হারের পর পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে কোভাচের দল।
'হচ্ছেটা কি!' কোভাচ হয়তো বলছেন এমন কিছুই
এমন হারের পরেও দলকে ধৈর্য রাখার আহবান জানালেন কোভাচ, ‘আমি আগের মৌসুমেও কঠিন সময়ে হাল ছাড়িনি, এবারও ছাড়ব না। এরকম মুহূর্তে আপনি খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে পারবেন না এটা সত্যি। এই ম্যাচের পর সবাই খুব হতাশ। আমি সবকিছুই বুঝি। তাও সবাইকে ধৈর্য রাখতে হবে। ম্যাচের শুরুতেই আমরা দশজনের দলে পরিণত হয়েছিলাম লাল কার্ডের কারণে। দুই গোল হজম করেও আশা ছাড়িনি। কিন্তু তৃতীয় গোলটা হওয়ার পরেই ম্যাচটা নাগালের বাইরে চলে গেছে।’
মৌসুমের শুরু থেকে বেশ কয়েকবার কোভাচকে সরিয়ে দেওয়ার কথা উঠেছিল। কোভাচের দিন কি শেষ হয়ে এসেছে বায়ার্নে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলছেন, নিজের কোচের পদে থাকা না থাকা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই তার, ‘আমি এটা কীভাবে জানবো? আপনারাই তো জানবেন। আমি এরকম কিছু শুনিনি। এসব কিছু নিয়ে আমরা বলতে পারি না। আমি কী ভাবছি সেটাও গুরুত্বপূর্ণ না। যারা সিদ্ধান্ত নেয় তাদেরই জিজ্ঞাসা করা উচিত।’
এদিকে বায়ার্ন অহদিনায়ক ম্যানুয়েল নয়্যার বলছেন, দলে পরিবর্তন দরকার, ‘আমরা কোনোভাবেই পাঁচ গোল হজম করতে পারি না। কিছুটা দুর্ভাগ্যও ছিল। তবে আমাদের রক্ষণভাগ নিজের কাজটা করতে পারেনি। যা হয়েছে সেটায় আমি অবাক না। আগের ম্যাচেও এরকম কিছুর আভাস পাওয়া গিয়েছিল। লাল কার্ডকে আমিও দুষতে চাই না। তবে কিছু একটা পরিবর্তন আনতেই হবে।’