কিক অফের আগে: বার্সাকে ধরার দৌড়ে ডর্টমুন্ড-ইন্টার
গ্রুপ 'এফ'-এ আগের ম্যাচে সান সিরোতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারানো ইন্টার মিলান এবার জার্মানদের মুখোমুখি হবে সিগনাল ইদুনা পার্কে। ৩ ম্যাচ শেষে সমান ৪ পয়েন্ট থাকা দু'দলই জানে, শেষ ষোলর পথ সুগম করতে হলে জয়ের বিকল্প নেই কারোই। গ্রুপের অন্য খেলায় ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ স্লাভিয়া প্রাগ। নিজেদের মাঠে বার্সাকে সমানে সমান টেক্কা দেওয়া স্লাভিয়ার বিপক্ষে এই মৌসুমে নিজেদের হোম ফর্মটাই অনুপ্রেরণা বার্সার।
বার্সাকে ধরার দৌঁড়ে ডর্টমুন্ড-ইন্টার
কবে, কখন
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড-ইন্টার মিলান
চ্যাম্পিয়নস লিগ
গ্রুপ 'এফ'
৬ নভেম্বর, রাত ২টা
এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘এফ’ গ্রুপে দুই দলের শুরুটা হয়েছিল দুইরকম। প্রথম ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে উড়ছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, অন্যদিকে স্লাভিয়া প্রাগের সাথে সান সিরোতেই ড্রয়ের পর বার্সেলোনার কাছে হেরে চাপে পড়েছিল ইন্টার মিলান। কিন্তু পরের ম্যাচে ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট দু’দলেরই। শেষ ষোলতে যেতে হলে সিগনাল ইদুনা পার্কে জয়ের বিকল্প নেই কারোই।
ইন্টারের বিপক্ষে শেষ দেখার মত চ্যাম্পিয়নস লিগে সাম্প্রতিক ফর্মও সুবিধার নয় ডর্টমুন্ডের; শেষ ৮ ম্যাচের মাত্র ২টিতে জিতেছে তারা। লিগে অবশ্য ডর্টমুন্ডের ফর্ম দারুণ, টেবিলের দুইয়ে আছে তারা। ইন্টারের বিপক্ষে তাই লিগ ফর্মটাই অনুপ্রেরণা লুসিয়ান ফাভ্রের দলের।
লিগ ফর্মের বিচারে পিছিয়ে নেই ইন্টারও। আন্তোনিও কন্তের অধীনে দুই স্ট্রাইকার লাউতারো মার্টিনেজ এবং রোমেলু লুকাকুতে সওয়ার হয়ে ‘নেরাজ্জুরি’রা আছে সিরি আ-এর দুইয়ে। তবে ইন্টারের দুশ্চিন্তা 'অ্যাওয়ে' ফর্ম; ইউরোপে প্রতিপক্ষের মাঠে শেষ ১৩ ম্যাচের মাত্র ২বার জিতেছে তারা। জার্মানিতেও সাম্প্রতিক ফর্ম সুবিধার নয় ইন্টারের, শেষ তিন ম্যাচে জয়হীন ‘নেরাজ্জুরি’রা।
ইন্টারের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ছিলেন না মার্কো রয়েস, পাকো আলকাসের। গত সপ্তাহে উলভসবুর্গের বিপক্ষে আবারও ইনজুরিতে পড়েছেন রয়েস, তবে একাদশে ফিরতে পারেন আলকাসের। ইনজুরির কারণে অ্যালেক্সিস সানচেজ পাচ্ছেন না কন্তে; তবে ডিয়েগো গোডিনের একাদশে ফেরার সম্ভাবনাই বেশি।
সম্ভাব্য একাদশ
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড (৪-২-৩-১): হিটজ; হাকিমি, আকাঞ্জি, হামেলস, গুরেরো; ডেলেনি, উইটসেল; হ্যাজার্ড, ব্রান্ডট, সানচো; আলকাসের
ইন্টার মিলান (৩-৪-৩): হান্দানোভিচ; গোডিন, দে ফ্রাই, স্ক্রিনিয়ার; কান্দ্রেভা, সেনসি, ব্রোজোভিচ, বারেলা; বিরাঘি, লুকাকু, মার্টিনেজ।
ঘরের মাঠেই স্বস্তির খোঁজে বার্সা
কবে, কখন
বার্সেলোনা-স্লাভিয়া প্রাগ
চ্যাম্পিয়নস লিগ
গ্রুপ 'এফ'
৬ নভেম্বর, রাত ২টা
স্লাভিয়া প্রাগের মাঠে আগের ম্যাচে রীতিমত সংগ্রাম করে জিততে হয়েছিল এর্নেস্তো ভালভার্দের দলের। ঐ ম্যাচের পরই গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান এবং ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে স্কোয়াডের সবাইকে নিয়ে সাম্প্রতিক ফর্মের ব্যাপারে আলোচনার কথা বলেছিলেন।
বার্সার ফুটবলাররা আদৌ বসেছিলেন কি না, সে ব্যাপারে অবশ্য নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি; তবে অ্যাওয়ে ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্সের উন্নতি হয়নি ঐ ম্যাচের পরও। লেভান্তের বিপক্ষে গত সপ্তাহেও ৩-১ গোলে হেরেছে তারা। লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে টেবিলের শীর্ষে থাকলেও তাই চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ভালভার্দে।
তবে আপাতত নিজেদের মাঠে ফিরতে পারাটাই কিছুটা স্বস্তিকর কাতালানদের জন্য। এই মৌসুমে যেন প্রতি সপ্তাহে বার্সেলোনার দুই রূপ দেখতে হচ্ছে সমর্থকদের। ন্যু ক্যাম্পে দুর্দান্ত খেলা বার্সা হারিয়ে দেয় ইন্টার মিলান, সেভিয়ার মত দলকে; আর প্রতিপক্ষের মাঠে হেরে যায় গ্রানাদার কাছেও।
ন্যু ক্যাম্পে এই মৌসুমে খেলা ৬ ম্যাচে ২৩ গোল করা বার্সা প্রতিপক্ষের মাঠে ৮ ম্যাচে জাল খুঁজে পেয়েছে মাত্র ১০বার। ‘এফ’ গ্রুপে ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে তারা, স্লাভিয়াকে ন্যু ক্যাম্পে হারালে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে শেষ ষোলতে যাওয়া। বার্সাকে নিজেদের মাঠে সমানে সমান টেক্কা দিলেও ন্যু ক্যাম্পে হয়তো স্বপ্ন দেখার উচ্চাশা করা কঠিনই স্লাভিয়া।
২০১৩-এর পর ন্যু ক্যাম্পে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ হারেনি স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। চেক প্রজাতন্ত্রের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শেষ ৫ ম্যাচই জিতেছে বার্সা, গোল করেছে ১৫টি। স্লাভিয়ার বিপক্ষে লুইস সুয়ারেজকে পাচ্ছে না বার্সা। একাদশে ফিরতে পারেন উসমান ডেম্বেলে বা আনসু ফাতি।
সুয়ারেজ ছিটকে যাওয়ায় উইং থেকে সরে নিজের পছন্দের মূল স্ট্রাইকারের ভূমিকায় খেলতে পারেন আঁতোয়া গ্রিযমান। বার্সার জার্সিতে এখনও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড, সুয়ারেজের ইনজুরিতে তাই সুযোগ এসেছে নিজের সামর্থ্যের জানান দেওয়ার।