আবেগে ভেসে না গিয়ে নিজেকে শান্ত রাখবেন রদ্রিগো
লা লিগায় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিজের অভিষেকটা গোল দিয়েই স্মরণীয় করে রেখেছিলেন ১৮ বছর বয়সী রদ্রিগো গোজ। তরুণ এই রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড এবার চ্যাম্পিয়নস লিগেও বার্নাব্যুর অভিষেকটা রাঙ্গালেন গোল দিয়ে। তবে এবার শুধু গোল নয়, রদ্রিগো করেছেন হ্যাটট্রিক। গ্যালাতাসারের বিপক্ষে তার হ্যাটট্রিকেই বড় জয় পেয়েছে রিয়াল। ম্যাচের পর রদ্রিগো জানিয়েছেন, বার্নাব্যুর দর্শক তার নাম ধরে স্লোগান দেবে, এটা তার কাছে স্বপ্নের মতো।
আরও পড়ুনঃ রদ্রিগোর হ্যাটট্রিকের রাতে গ্যালাতাসারেকে উড়িয়ে দিল রিয়াল
হ্যাটট্রিকের রাতে রদ্রিগো বেশ কিছু রেকর্ডও করেছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে দ্রুততম জোড়া গোলের রেকর্ড এখন তার। রিয়াল কিংবদন্তি রাউলের পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম হ্যাটট্রিক করা ফুটবলার হলেন রদ্রিগো।
ম্যাচের পুরো সময়জুড়েই বার্নাব্যুর দর্শক রদ্রিগোর নাম ধরে নেচে গেয়ে মাতিয়ে রেখেছিল গ্যালারি। সমর্থকদের এমন উৎসাহে দারুণ খুশি এই ব্রাজিলিয়ান, ‘বার্নাব্যুর দর্শক আমার নাম ধরে গান গাইছে, এটা তো স্বপ্নের মতো। আমি খুব খুশি। দারুণ একটা রাত কেটেছে। কিন্তু আবেগে ভেসে গেলে হবে না। রিয়ালে আসার পর আমি যা আশা করেছিলাম সবকিছু তার চেয়ে অনেক দ্রুত হচ্ছে। নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে প্রতিদিনই উন্নতি করায় প্রচেষ্টায় আছি।’
কাল রাতের ম্যাচ শেষে একটি বলে রিয়ালের সবাই সাক্ষর করে রদ্রিগোকে দিয়েছে স্মৃতি হিসেবে। এই বলটিকে আজীবন আগলে রাখার কথাই জানালেন তিনি, ‘আমার সতীর্থরা দারুণ মানুষ। তারা সবাই বলটায় সাক্ষর করে আমাকে উপহার দিয়েছে। তারা আমাকে সবসময়ই অনেক আত্মবিশ্বাস যোগায়।’
রিয়াল স্ট্রাইকার করিম বেনজেমার তার রদ্রিগোর বোঝাপড়াটাও নজরে এসেছে সবার। বেনজেমার একটি গোলে অ্যাসিস্টও ছিল তার। রদ্রিগো বলছেন, বেনজেমার পাশে খেলতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনি, ‘বেনজেমা সবার কাজটা সহজ করে দেয়। তার পাশে খেলতে পেরে আমি দারুণ খুশি।'