লিভারপুলের কাছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাইবে সিটি
প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ দুইদলের লড়াই ১১ নভেম্বর। মাঠে ম্যানচেস্টার সিটি-লিভারপুলের ফুটবল দ্বৈরথ গত কয়েক বছরে বেড়েছে আরও। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মাঠের বাইরের সমস্যাও। আরও একবার অ্যানফিল্ড যাত্রার আগে তাই কিছুটা সতর্ক ম্যান সিটি লিভারপুলের কাছ থেকে চাইছে নিরাপত্তার আশ্বাস।
গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে অ্যানফিল্ডে যাওয়ার পথে ম্যানচেস্টার সিটি টিম বাসে আক্রমণ করে বসেছিলেন লিভারপুল সমর্থকেরা। কেউ হতাহত না হলেও ঐ ম্যাচের পর ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল 'অল রেড'দের নিরাপত্তা ব্যবসা নিয়ে। ইয়ুর্গেন ক্লপ এবং লিভারপুল আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু এবার যেন আগের মত অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য লিভারপুলের কাছে যাত্রাপথের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছে সিটি, জানিয়েছে মার্সিসাইড পুলিশ।
গত বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম লেগে অ্যানফিল্ডে প্রবেশের সময় সিটির বাসকে উদ্দেশ্য করে এনার্জি ড্রিঙ্কের ধাতব এবং কাঁচের বোতল, আতশবাজি ছুঁড়ে মেরেছিলেন লিভারপুল সমর্থকেরা। সিটির বাসের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়লেও আহত হননি কেউ। কিন্তু সার্জিও আগুয়েরো এবং ডেভিড সিলভা অল্পের জন্য আঘাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। ঐ ম্যাচের পর ইউয়েফা থেকে লিভারপুলকে ২ লাখ ইউরো জরিমানা করা হয়।
কিছুটা বিস্ময়করভাবে ঐ ঘটনার পরও কোনো লিভারপুল সমর্থককে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। মূলত লিভারপুলের কাছে সিটির এই নিশ্চয়তা চাওয়ার অন্যতম কারণ হল, কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিভারপুল সমর্থকদের একটি ব্যানারের ছবি ভাইরাল হচ্ছে।
ছবিতে বলা আছে, লিভারপুল সমর্থকেরা যেন বোতল, ক্যান, আতশবাজি সহ সম্ভাব্য সবকিছু নিয়ে ম্যাচের দিন পুরো অ্যানফিল্ড ঘেরাও করে। আপাতত অবশ্য কিছুটা ব্যবস্থা নিয়েছে মার্সিসাইড পুলিশ। সিটির নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের যাতায়াতের পথ গোপন রাখা হয়েছে। মার্সিসাইড পুলিশের সুপারইন্ডেন্ট পল ওয়াইট ইএসপিএন-কে নিশ্চিত করেছেন; সিটির নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপই নিচ্ছেন তারা, "গত বছরের ঘটনাটি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। এর আগে এরকম কিছু না হওয়ায় আমরা প্রস্তুতিও নেইনি ওভাবে।
"কিন্তু এরপর থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দুই ক্লাবের সমর্থকদের সাথে যোগাযোগ আছে আমাদের, সবাইকে শান্তিপ্রিয় থাকার আহবান জানিয়েছি আমরা। এর ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত মৌসুমে লিগের ম্যাচে সিটির নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা হয়নি। আশা করছি, এবারও হবে না।"