• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    হৃদয়ের হ্যাটট্রিক-সেঞ্চুরিতে জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ অ-১৯

    হৃদয়ের হ্যাটট্রিক-সেঞ্চুরিতে জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ অ-১৯    

    বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ ৫০ ওভারে ২৮৩/৭

    শ্রীলংকা অনূর্ধ্ব ১৯ ৪৪.৪ ওভারে ২৩৩ অলআউট

    ফলঃ বাংলাদেশ অ ১৯ ৫০ রানে জয়ী


    প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ১২৩, পরের ম্যাচে ১১৫। শ্রীলংকা ১৯ অনূর্ধ্ব দলের বিপক্ষে তৌহিদ হৃদয়ের টানা দুই সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। শেষ দিনে এসে আরও একটি সেঞ্চুরি পেলেন তৌহিদ হৃদয়। ৫০ রানে জিতে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল, প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি বাধা না হলে ধবলধোলাই-ই করতে পারল শ্রীলংকাকে।

    চট্টগ্রামে আজ বেশ কয়েকজন তরুণকে বাজিয়ে দেখেছে বাংলাদেশ। প্রীতম কুমার অবশ্য সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি, ১ রান করে আউট হয়ে গেছেন প্রথম ওভারেই। সাজিদ ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিল মিলে এরপর যোগ করেছেন ৫৬ রান। সাজিদ ২১ রান করে আউট হয়েছেন, তবে প্রান্তিক ঠিকই পেয়েছেন ফিফটি। ৭৭ বলে ৬৫ রান করে যখন আউট হয়েছেন, স্কোরকার্ডে উঠে গেছে ১২৭ রান। হৃদয় অবশ্য সেখান থেকে টেনে নিয়ে গেছেন দলকে, চতুর্থ উইকেটে পারভেজ হোসেনের সঙ্গে যোগ করেছেন ঠিক ১০০ রান। ৩৮ করে আউট হয়েছেন পারভেজ, এরপর শামীম ও আকবর আলী ফিরে গেছেন দ্রুত।৬ উইকেটে ২৩৬ রান হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশের যুবারা।

    তবে তৌহিদ আর অভিষেক দাশ মিলে শেষদিকে ছোটোখাটো ঝড়ই চালিয়েছেন। দুজন ৪৭ রান যোগ করেছেন ঠিক ৫ ওভারে, শেষ ওভারে ১০২ বলে ১১১ রান করে আউট হয়েছেন হৃদয়। তিনটি চারের সঙ্গে মেরেছেন পাঁচটি ছয়। অভিষেক অপরাজিত ছিলেন ১২ বলে ২৪ রান করে। বাংলাদেশ থেমেছে ২৮৩ রানে।

    এই রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলংকা শুরুতেই পায় জোড়া আঘাত। প্রথম দুই ওভারের মধ্যে দুই উইকেট তুলে নেন অভিষেক ও শাহীন আলম। মোহাম্মদ সামাদ ও রাভিন্দু রাসান্থা তৃতীয় উইকেটে ৮৭ রান যোগ করেছিলেন। কিন্তু ৪০ রান করে সামাদ ফেরেন শামীমের বলে। রাসান্থা চেষ্টা করেছিলেন, নিপুণ দনঞ্জয়া ও আভিস্কা পেরেরাকে নিয়ে জুটিও গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দনঞ্জয়া আর পেরেরা দুজনেই হয়েছেন রান আউট, ওদিকে রাসান্থা ৮৪ রান করে আউট হয়ে গেছেন হাসান মুরাদের বলে। শ্রীলংকার আশা তখন ওখানেই শেষ, শেষ পর্যন্ত ২৩৩ রানেই অলআউট হয়েছে। চারজনই রান আউট হয়েছেন, বাংলাদেশের হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহীন ও হাসান মুরাদ।