• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    'অলরাউন্ডার' সৌম্য আর শান্ত-হাসানে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

    'অলরাউন্ডার' সৌম্য আর শান্ত-হাসানে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ    

    আফগানিস্তান ইমার্জিং ২২৮/৯, ৫০ ওভার (রাসুলি ১১৪, সৌম্য ৩/৫৮, হাসান ৩/৪৮, তানভীর ২/৩৩) 
    বাংলাদেশ ইমার্জিং ২২৯/৩, ৩৯.৩ ওভার (সৌম্য ৬১, শান্ত ৫৯, ওয়াসি ২/৪৬)
    বাংলাদেশ ৭ উইকেট ও ৬১ বল বাকি রেখে জয়ী 


    অলরাউন্ডার সৌম্য সরকারের সঙ্গে হাসান মাহমুদের ৩ উইকেট ও নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটির সঙ্গে রাব্বি-আফিফের ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানকে সহজেই হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে চলে গেছে বাংলাদেশ। দারউইশ রাসুলির দারুণ সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানের করা ২২৮ রান বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে ৭ উইকেট ও ৬১ বল বাকি থাকতেই। এর আগে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। ২৩ তারিখে মিরপুরের ফাইনালে বাংলাদেশ খেলবে পাকিস্তানের সঙ্গে। 

    টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে চেপে ধরেছিল শুরুতেই। ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল আফগানিস্তান- টপ অর্ডারের তিনজনকেই ফিরিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। আব্দুল মালিক ও শহিদুল্লাহ দিয়েছিলেন ক্যাচ, শাওকাত জামান হয়েছিলেন এলবিডব্লিউ। এরপর সৌম্যর বলে মুনির আহমেদ বোল্ড হলে দুর্দশা বাড়ে আফগানিস্তানের। রাসুলির সঙ্গে অধিনায়ক সামিউল্লাহ শিনওয়ারির ৩৭ রানের জুটি আফগানিস্তানকে একটু আশা দিলেও তানভীর ইসলামের বলে শিনওয়ারি ফিরলে আফগানিস্তান পরিণত হয় ৭৩ রানে ৫ উইকেটে। 
     


    বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়েও দারুণ ছিলেন সৌম্য/এসিসি


    সেখান থেকে আফগানিস্তান যে ২২৮ রান পর্যন্ত গেছে, তাতে মূল অবদান রাসুলির, এবং তার সঙ্গে ওয়াহিদুল্লাহ শাফাক ও তারিক স্ট্যানিকজাইয়ের যথাক্রমে ৬৭ ও ৮৬ রানের দুটি জুটির। শাফাক ৩৪ রান করে ক্যাচ দিয়েছেন তানভিরের বলে, আর সৌম্যর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে স্ট্যানিকজাই করেছেন ৩৩ রান। 

    শেষ ১০ ওভারে ৮৭ রান তুলেছে আফগানিস্তান, এর মাঝে ৫০ রানই করেছেন রাসুলি। শেষদিকে বড় বড় কিছু শট খেলেছেন, ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতে সৌম্যর ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। এর আগে করেছেন ১২৮ বলে ১১৪ রান, ৭টি করে চার ও ছয়ে। বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ ৪৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট, ৩ উইকেট নিতে সৌম্য খরচ করেছেন ৫৮ রান। ১০ ওভারে মাত্র ৩৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তানভীর। 
     


    দারুণ সেঞ্চুরি ম্লান হয়ে গেছে রাসুলির/এসিসি


    রানতাড়ায় ৪র্থ ওভারে নাঈম শেখকে হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ, ২১ বলে ১৭ রান করে আজমতউল্লাহ উমরজাইয়ের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন এই ওপেনার। সৌম্য ও শান্ত ২য় উইকেটে ১০৭ রান যোগ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দিয়েছেন অনেকটিই। 

    লেগস্পিনার আব্দুল ওয়াসির বলে দুই বাঁহাতিই হয়েছেন বোল্ড- শান্ত সুইপ করতে গিয়ে, সৌম্য পা বাড়িয়ে ডিফেন্ড করতে গিয়ে। এর আগে সৌম্য করেছেন ৫৯ বলে ৩টি করে চার ও ছয়ে ৬১ রান, আর ৬৮ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৯ রান শান্তর। 

    জয় থেকে ৭৫ রান দূরে থাকতে আউট হয়েছিলেন শান্ত, ইয়াসির আলি রাব্বি ও আফিফ হোসেন এরপর নিশ্চিত করেছেন জয়। ৫৬ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাব্বি, ৩৬ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৫ রান আফিফের। শেষদিকে ৯ রান বাকি থাকতে একটা ড্রিংকস ব্রেক ডাকলেন আম্পায়াররা। ম্যাচে আফগানিস্তান বাংলাদেশকে অতটুকু সময়ের জন্যই আটকাতে পারলো যেন। আর শের-ই-বাংলার একটা স্ট্যান্ডভর্তি দর্শকদের বিনোদনটা ঠিকই জোগালেন আফিফরা।