বিতর্কিত ম্যাচে অ্যানফিল্ডেই লিভারপুলকে রুখে দিল নাপোলি
ফুল-টাইম
লিভারপুল ১-১ নাপোলি
জিতলেই নিশ্চিত চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলর টিকেট- এই সমীকরণ নিয়েই অ্যানফিল্ডে নেমেছিল লিভারপুল এবং নাপোলি। ম্যাচের প্রায় ঘণ্টাখানেক পেরিয়ে যাওয়ার পর লিভারপুল নয়, শেষ ষোল নিশ্চিত করার স্বপ্ন দেখছিল কার্লো আনচেলত্তির দলই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাধা সেঁধেছেন লিভারপুল ডিফেন্ডার দেয়ান লভ্রেন। তার সমতাসূচক গোলে নাপোলির সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে লিভারপুল, গ্রুপ ‘ই’ থেকে শেষ ষোলতে এখনও নিশ্চিত নয় কেউই।
গত সপ্তাহে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে বিশ্রামে থাকা মোহামেদ সালাহকে নাপোলির বিপক্ষে একাদশে পেয়েছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সালাহর ফেরার দিনে আরও এক ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে লিভারপুল, এবার মাঠ ছাড়তে হয়েছে ফাবিনহোকে। ক্লপের দলের জন্য ফাবিনহোর গুরুত্ব ঠিক কতটা, সেটা বোঝা গেছে মিনিট দুয়েক বাদেই। জিওভানি ডি লরেঞ্জোর লম্বা পাসে লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকে একা পেয়ে যান দ্রিস মার্টেন্স। আড়াআড়ি শটে আনচেলত্তির দলকে লিড এনে দেন তিনি।
তবে নাপোলির গোলে বিতর্কও ছিল বেশ। গোলের বিল্ড আপে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন ডিফেন্ডার ভার্জিল ভ্যান ডাইক, কিন্তু খেলা থামাননি রেফারি। গোলের পর রিপ্লে দেখেও সিদ্ধান্ত বদলাননি ভিডিও রেফারিও। প্রথমার্ধে আক্রমণে তেমন সুবিধাই করতে পারেনি লিভারপুল। নাপোলির ৩-৫-২ ফর্মেশন ভাঙতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে সালাহ-মানেদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে অবশেষে সমতাসূচক গোলের দেখা পায় ক্লপের দল।
৬৫ মিনিটে জেমস মিলনারের কর্নার থেকে লভ্রেনের হেড নাপোলি গোলরক্ষক অ্যালেক্স মেরেতকে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় নাপোলির জালে। গোলের পর নাপোলিকে চেপে ধরেছিল লিভারপুল। শুধু দ্বিতীয়ার্ধেই মেরেতের গোলে ৪বার শট নিয়েছিল তারা, বল দখলের লড়াইয়েও এগিয়ে ছিল ‘অল রেড’রা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর লিড নেওয়া হয়নি লিভারপুলের।
গ্রুপের অন্য খেলায় গেঙ্ককে ৪-১ গোলে হারানোয় ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন-এ থাকল রেডবুল সালজবুর্গ। ৫ ম্যাচ শেষে লিভারপুলের পয়েন্ট ১০, নাপোলির পয়েন্ট ৯। ৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন-এ আছে সালজবুর্গ। গ্রুপের শেষ ম্যাচে গেঙ্ককে আতিথেয়তা দেবে নাপোলি, সালজবুর্গের মাঠে শেষ ষোলর টিকেট নিশ্চিত করার লড়াইয়ে নামবে লিভারপুল।