জানুয়ারি থেকে দলবদলে বাধা নেই চেলসির
গত গ্রীষ্মে চেলসির ম্যানেজার হওয়ার পর প্রথম দলবদলে কাউকে দলে আনতে পারেননি ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। চেলসিকে দেওয়া ফিফার নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী জানুয়ারিতেও কাউকে দলে ভেড়ানোর সুযোগ ছিল না 'ব্লুজদের। ফিফার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জুনেই আপিল করেছিল চেলসি। আপিলে সফলও হয়েছে তারা, কোর্ট অফ আরবিট্রেশন অফ স্পোর্টস (সিএএস)-এর রায়ে শাস্তি কমে গ্রীষ্ম এবং শীতকালীন- দু'বারের জায়গায় একবার দলবদলে নিষেধাজ্ঞা থাকল চেলসির। এই জানুয়ারিতে দলবদলে খেলোয়াড় ভেড়াতে বাধা নেই ল্যাম্পার্ডের দলের।
শুধু দলবদল নয়, জরিমানার পরিমাণও অর্ধেক করা হয়েছে চেলসির। সাড়ে ৫ লাখ ইউরো থেকে কমে চেলসির জরিমানা এখন ২ লাখ ৭০ হাজার ইউরো। নিজেদের অনুর্ধ্ব-১৮ দলে নিয়ম বহির্ভূত অসদুপায় অবলম্বন করে ফুটবলার ভেড়ানোয় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২০১৯-২০ মৌসুমের দুই দলবদলে চেলসির অংশগ্রহণ বাতিল করে ফিফা। তিনজন ফুটবলারের দলবদলে চেলসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল ফিফার। কিন্তু সিএএস জানিয়েছে, তিন ফুটবলার নয়; শুধুমাত্র একজনকে দলে নিতে অসদুপায় অবলম্বন করেছিল চেলসি।
সেজন্য শাস্তি কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে 'ব্লুজ'দের। দলবদলে নিষেধাজ্ঞার আগেই এ বছরের জানুয়ারিতে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচকে দলে নিয়েছিল চেলসি। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ধারে খেলা মাতেও কোভাসিচকেও এই গ্রীষ্মে পাকাপাকিভাবে দলে নিয়েছে তারা। পুলিসিচ এবং কোভাসিচ ছাড়া গত এক বছরে আর কাউকে দলে ভেড়াতে পারেনি চেলসি।
মৌসুমের শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি চেলসির। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ৪-০ গোলের বড় হারের পর লিভারপুলের কাছে ইউয়েফা সুপারকাপও হেরেছিলেন ল্যাম্পার্ড। কিন্তু সীমিত সামর্থ্য দিয়েই সবাইকে চমকে দিয়েছেন ল্যাম্পার্ড এবং চেলসির তরুণরা। মেসন মাউন্ট, ফিকায়ো তমোরি, ট্যামি আব্রাহামরা আছেন দারুণ ফর্মে। তারুণ্যে সওয়ার হয়েই প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের ৪-এ আছে চেলসি।
দলের অন্যান্যরা ফর্মে থাকলেও দুই ফুলব্যাক নিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ল্যাম্পার্ডকে। জানুয়ারিতে হয়তো তাই ডিফেন্ডার কেনাই হবে ল্যাম্পার্ডের লক্ষ্য। এছাড়া আক্রমণে আব্রহামের 'আন্ডারস্টাডি' হিসেবে উঁচু মাপের স্ট্রাইকারের অভাব আছে চেলসির। দলবদলের আর বাকি মাত্র সপ্তাহ তিনেক। এমন সময় সুসংবাদ পাওয়া ল্যাম্পার্ডকে তাই হয়তো এখনই নেমে পড়তে হবে দলবদলের ছক কষতে।